শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

চালকের বেশে গার্মেন্টসের কাপড় চুরি, গ্রেপ্তার তিন

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পোশাক কারখানার পণ্য তৈরির কাপড় পরিবহনের অপেক্ষায় থাকে এ চক্রের সদস্যরা। সুবিধামতো সময়ে সেসব কাপড় গন্তব্যে না পৌঁছে চুরি করে মজুত করে তারা। এরপর কোনো চোরাই মার্কেটে ক্রেতা ঠিক করে তা বিক্রি করে দেয়া হয়। আর কাপড় চুরির সুবিধার্থে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক হিসেবে বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি নিতেন এ চক্রের হোতা গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান ওরফে মোল্লা আসাদ। আর এ কারণেই চালক হিসেবে কোথাও বেশিদিন কাজ করতেন না তিনি।
রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাপড় চোর চক্রের হোতা চালক আসাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ। গতকাল রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- আল আমিন ওরফে সরোয়ার ও আবেদ আলী। এদের মধ্যে আল আমিন নিজ বাসায় চুরির পর কাপড়গুলো মজুত করতেন আর আবেদ আলী চোরাই মার্কেটে কাপড়ের ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, গার্মেন্টসের পণ্য চুরি যাওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি একটি কমিটি হয়, যেখানে ডিবি পুলিশও রয়েছে। এরপর এসব ঘটনা তদন্তের ধারাবাহিকতায় এই চোর চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তিনি আরো বলেন, নোমান গ্রুপের কাপড় চুরি যাওয়ার ঘটনার দুই দিনের মধ্যেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর ধৌর ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাভার্ড ভ্যানসহ চালক আসাদুজ্জামান মোল্লা আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে আল আমিনের গুদাম থেকে চুরি যাওয়া ৮ হাজার ৪৬০ মিটার কাপড় জব্দসহ বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, আসাদ চালক হিসেবে বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি নেন। গার্মেন্টসের মালামাল পরিবহনের সময় সুবিধামতো সময়ে কাভার্ড ভ্যানসহ চুরি করে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরে আবার অন্য গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে নতুন করে চুরির পরিকল্পনা করেন। আসাদ চুরি করে কাভার্ড ভ্যানসহ কাপড়গুলো আল আমিনের গুদামে রাখেন। পরে আবেদের মাধ্যমে চোরাই বাজারে সেসব কাপড় বিক্রি করা হতো। আসাদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও টঙ্গী পূর্ব থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, গার্মেন্টস মালিকদের এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। যাকে চালক হিসেবে চাকরি দেয়া হয়, তাদের পরিচয়পত্র, ঠিকানা ও স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য রাখা উচিত। যাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত চালককে শনাক্ত করা যায়। এছাড়া পণ্য পরিবহনের সময় কাভার্ড ভ্যান ট্র্যাকিংয়ের জন্য জিপিএস ডিভাইসও বসানো যায়। আর যারা কাপড় কিনেন তাদেরও খেয়াল রাখা উচিত এসব চোরাই কিনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আরো কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়