শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

এফবিসিসিআইর ডায়ালগে বক্তরা : উৎপাদন ও সেবা খাতে ১০ লাখ কর্মী দরকার

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রতি বছর দেশের উৎপাদন ও সেবা খাতের জন্য ১০ লাখ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন। বিনিয়োগ, দেশীয় বাজার উন্নয়ন, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরির জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নে এই ডায়ালগের আয়োজন করে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
মো. হেলাল উদ্দিন এফবিসিসিআই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উৎপাদন ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ লোকের চাহিদা আছে। ট্রেনিং একাডেমিসহ সব সেক্টরে যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরিতে পাবলিক প্রাইভেট সমন্বিতভাবে এগুতে হবে। এফবিসিসিআইসহ সব সেক্টরকে সমন্বিত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব আমরা।
এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেজের অভাব, কারিগরি শিক্ষা মূল্যায়নে সীমাবদ্ধতা, মাস্টার ট্রেনারের অভাবসহ বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআইসহ সব সেক্টরকে সমন্বিত হয়ে খাতভিক্তিক গ্যাপ উত্তরণে কাজ করতে হবে। এতে দেশে-বিদেশে সর্বক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডিসন হবে, প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। ফলে নতুন নতুন উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরই সঙ্গে প্রয়োজনীয় দক্ষকর্মী সরবরাহের জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এখন মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দেশের কর্মক্ষম জনবলকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষকর্মীর পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য আমাদের নিডবেজ স্পেশালাইজেশন দরকার। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ খাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা যেতে পারে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করতে যথাযথ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মানসম্মত ট্রেইনার আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসার সঙ্গে একাডেমিয়ার যোগাযোগ নেই। এলডিসি গ্রাজুয়েশনসহ সরকারের লক্ষ্যগুলো অর্জনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিল্প, বাণিজ্য ও অফিস ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যাপক হারে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু নাসের, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ছিলেন সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য পরিচালক, বিভিন্ন চেম্বার এসোসিয়েশনের সভাপতিসহ জেনারেল বডির সদস্যরা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এফবিসিসিআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়