চট্টগ্রাম অফিস : মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করতে পারেনি মো. ইমরান (২৯)। ইয়াবা বেচাকেনার অভিযোগে থানায় রয়েছে দুটি মামলা। নিজেকে পরিচয় দেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের একাধিক পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে, মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ‘সাংবাদিক’ সেজে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আদায় করে টাকা। নগরীর আগ্রাবাদের একটি রেস্টুরেন্টে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গত শুক্রবার রাতে আটক হয় পুলিশের হাতে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমরানের পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার বাবা ডবলমুরিং থানা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্দুর রহমান বাবুল ওরফে ডাইল বাবুল। মামলা আছে ২টি। মা শারমিন আক্তার ওরফে ডাইল শারমিন ওরফে শামীমা আগ্রাবাদ ডেবার পূর্বপাড় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেও মামলা আছে ৩টি। ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা ২টি। দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা ও আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটে সে। এর আগে ইমরান সিভয়েসডটকমের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করত। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে হাজি কাচ্চি ঘর নামে একটি বিরিয়ানির দোকানে যায় ইমরান। দাবি করে এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও ১ হাজার টাকা। অন্যথায় লাইভে হোটেলের বারোটা বাজানোর হুমকি দেয়। হোটেল ম্যানেজার কৌশলে পুলিশকে ফোন করেন। এরপর হোটেলে গিয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি পরিচয়পত্র, মোবাইল ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
হোটেল ম্যানেজার মো. শামীম জানান, ইমরান এসে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিরিয়ানি দিতে বলে। বিরিয়ানি নেই বললে সে ক্ষেপে যায় এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। তিনি বলেন, লাইভে এখন এই হোটেলের বারোটা বাজানো হবে। হোটেল কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে সে এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও ১ হাজার টাকা দাবি করে। তার দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ এসে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।