হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

বামপন্থি শ্রমিক সংগঠনের বিবৃতি : কারখানা খোলায় দ্বিমুখী সংকটে পড়ে শ্রমিকরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনার উচ্চতর সংক্রমণের মধ্যে ও লকডাউন চলা অবস্থায় আজ রবিবার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে পোশাক শ্রমিকদের দ্বিমুখী সংকটে ঠেলে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বামপন্থি শ্রমিক সংগঠনগুলো। তারা সরকার ও কারখানা মালিকদের কাছে প্রশ্ন করেন যে ‘শ্রমিকদের কি জীবিকার জন্য জীবন হারাতে হবে’?
গতকাল শনিবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য ফ্রন্ট, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ আকস্মিক ঘোষণায় কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের সীমাহীন দুর্ভোগে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী সত্ত্বেও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার মানুষের জীবন রক্ষা নয় পোশাক মালিকদের মুনাফা লাভের স্বার্থরক্ষাকারী পাহারাদার।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকার ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা করেছিল ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরিসেবা ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে এবং পরে সরকার একাধিকবার এই কথার পুনরুল্লেখ করেছে- বিশেষ করে শিল্প কলকারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু শিল্প মালিকদের চাপে গত ৩০ জুলাই রাতে আকস্মিকভাবে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা থাকবে বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার জন্য পরিবহন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক আয়োজন সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ফলে চাকরি হারানোর ভয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে আটকে থাকা লাখ লাখ শ্রমিকদের গণপরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় দুর্ভোগ আর ঝুঁকিকে সঙ্গী করে একদিনের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে হয়। এই ঘোষণা একদিকে লাখ লাখ শ্রমিককে যাত্রাপথের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের ক্ষতি, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ আর চাকরি হারানোর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
নেতারা মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের একতরফা অবস্থানের নিন্দা এবং শিল্প কারখানা চালুর আগে শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ও টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়