হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

প্রেষণে এডিজি পদায়ন : পদোন্নতি বঞ্চিতের শঙ্কা ডিআইপি কর্মকর্তাদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৪ জুলাই প্রশাসন ক্যাডারের একজন যুগ্ম সচিবকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে প্রেষণে পদায়নের আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে অধিদপ্তরের ৮টি ধাপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এমআরপি ও এমআরভি এবং ই-পাসপোর্ট ও ই-ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রমটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তার এ কার্যক্রম সম্পর্কে পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকায় এটি পরিচালনায় দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারেও বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতজন পরিচালক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত মহাপরিচলক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও পদ স্বল্পতার কারণে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় এ পদে অন্য দপ্তর হতে প্রেষণে পদায়ন গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন ডিআইপির কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের আদেশ কার্যকর হলে ওই সাতজন পরিচালক ছাড়াও পরবর্তী ৮টি ধাপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন- যারা প্রত্যেকে তিন থেকে বারো বছর আগে পরবর্তী উচ্চতর পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু, বিদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদান এবং ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এ কাজ সম্পাদনের জন্য দেশের অভ্যন্তরে ৬৯টি বিভাগীয়, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, পাসপোর্টের ডাটা সেন্টার, ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার পরিচালনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য দপ্তর, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হয়। অধিদপ্তরের কাজের পরিমাণ বাড়ানো, কাজের ধরনের পরিবর্তন এবং দীর্ঘদিন একই পদে দায়িত্ব পালনকারী পরিচালকদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২০১২ সালে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ২টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল।
পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিশেষায়িত ধরনের কাজ হওয়ায় দীর্ঘদিন এ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। এ প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অধিদপ্তরে দক্ষ জনবলের সংকট সৃষ্টি হবে। এর ফলে সেবার মান হ্রাস পাবে এবং জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ অধিদপ্তরে একজন কর্মকর্তাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এমআরপি ও এমআরভির কার্যক্রম তদারকি ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে হয়। এছাড়া ই-পাসপোর্টের কারিগরি বিষয়ের সঙ্গে অধিদপ্তরের চলমান কার্যপদ্ধতির সমন্বয় সাধনসহ অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতে হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ও মানসম্মত কাজ পেতে হলে তাদের সম্পর্কে পূর্ব ধারণা এবং তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পদটি অধিদপ্তরের পরিচালকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন ডিআইপির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়