হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী : কিছু বিদেশি গণমাধ্যম দেশের বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ দেয়

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করছে। এছাড়া বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু অনলাইন পোর্টাল ধারাবাহিকভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, অপপ্রচার চালায়, অনেক সময় গুজবও রটায়। সেইসঙ্গে বিদেশি কিছু নামকরা গণমাধ্যমও দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ও অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা কখনোই কাম্য নয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর জেলা প্রশাসন ও প্রেস ক্লাব আয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ, রংপুরের ডেপুটি কমিশনার আসিফ আহসান, রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। বিদেশি গণমাধ্যমের ‘ফোন ইন’ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফোন কল আনে, যাতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে বলে। এমন নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়া হয়, যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

সেই প্রতিবেদনকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই আমাদের কারো কারো সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। কিন্তু তাদের মূল লক্ষ্যই থাকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ ও সমালোচনা করা। এটা কোনো ভালো গণমাধ্যমের কাজ নয়।
‘সরকার দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করছে’- বিএনপি মহাসচিবের এ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। তাদের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা শোভা পায় না। মির্জা ফখরুল শিক্ষিত মানুষ, ঢাকা কলেজে পড়াতেন। ছাত্রদলের সভাপতির বক্তব্য আর তার বক্তব্য এক হওয়া উচিত নয়, তার আরো পড়াশোনা করে কথা বলা উচিত। মানুষের মাথাপিছু আয় ছয়শ ডলার থেকে ২ হাজার ২২৭ ডলার হয়েছে, যা ভারতের চেয়ে বেশি। গত সাড়ে ১২ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে চারগুণ বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণ। এগুলো তাদের চোখে পড়ে না।
এর আগে অনলাইনে দেয়া বক্তব্যে সাংবাদিকদের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও সাংবাদিকরা কাজ করে চলেছেন। এসময় গ্রাম ও শহর অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আবারো আন্তরিক অনুরোধ জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়