হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

ছয় কাভার্ডভ্যানসহ গ্রেপ্তার ১১ : বন্ড সুবিধায় কাপড় এনে খোলা বাজারে বিক্রি

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও লোকসান ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বন্ড সুবিধায় কাপড় এনে খোলা বাজারে বিক্রি করছে- পুরান ঢাকার ইসলামপুরকেন্দ্রিক এমন চক্রের সন্ধান মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তদন্ত চলমান আছে। যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
বন্ড সুবিধায় আমদানি করা চোরাই কাপড় বোঝাই ৬টি কাভার্ডভ্যানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। শনিবার গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। ডিবি প্রধান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল। অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর এলিফেন্ট রোড ও সাতরাস্তা মোড় এলাকা ১১ জনকে গ্রে?প্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. শাহাদাত হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, মো. রুবেল আকন, মো. মাসুম, মো. মনির হোসেন, মো. রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, মো. শাহিন হাওলাদার, মো. আরিফ হোসেন, মো. সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও মো. কামাল হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৮ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের ৫০৮ রোল চোরাই পর্দার কাপড় উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়াও চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত ৬টি কাভার্ডভ্যান জব্ধ করা হয়।
এ কর্মকর্তা আরো বলেন, সরকার প্রতি অর্থবছরে বন্ডের মাধ্যমে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রচলিত আইনানুযায়ী বন্ডের লাইন্সেস ব্যবহারের প্রধান শর্ত হলো বন্ডের পণ্য রপ্তানি ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য বিক্রি করতে চায় (সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ) সেক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক শুল্ক দিতে হবে। অথচ চক্রটি বন্ড সুবিধায় চীন থেকে শুল্কমুক্ত এসব কাপড় আমদানি করে চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা হয়ে রাজধানীর সাতরাস্তা স্ট্যান্ড ও এলিফেন্ট রোড এলাকায় নিয়ে আসে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে সরকার প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়াও দেশের স্পিনিং, ওয়েবিং, ডাইং ও ফিনিসিং প্রতিষ্ঠান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা ইসলামপুরকেন্দ্রিক এমন আরো একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। এই চক্রের পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের প্রত্যেককে রিমান্ডে নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়