বিমানের পাইলটদের কর্মবিরতির হুমকি

আগের সংবাদ

ইভ্যালি হাওয়া, বিপাকে গ্রাহক

পরের সংবাদ

মেরামতের নামে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম কুমার মহন্ত, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে : মহাদেবপুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইট ফেলে সড়ক মেরামতের নামে বছরে লুটপাট হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তারপরও সড়কের খানাখন্দ থেকেই যাচ্ছে বছর ধরে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে যাত্রীবাহী বাসসহ ক্ষুদ্র যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য সাধারণ পরিবহন। এসব দুর্ঘটনায় একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ বাড়চ্ছে, অপরদিকে যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিচ্ছে। ফলে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও পড়তে হচ্ছে আর্থিক সমস্যায়।
জানা গেছে, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার শহরের আখেড়া বাজারের ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকা থেকে পার্শ্ববর্তী পতœীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা এলাকার হরিরামপুর বাজার হয়ে নজিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এ আঞ্চলিক মহাসড়কের অন্তত ১৫ স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ওই সব স্থানের ১২-১৫ ফুট সড়কের পিচ-পাথর এবং ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নিজ চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এইটা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাকি ঊনবিংশ শতাব্দীর গ্রামাঞ্চলের সেই লালমাটির মেঠোপথ। প্রতিদিন এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে জেলার পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে এবং জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী পোরশা, সাপাহার, পতœীতলা ও ধামুইরহাট উপজেলা থেকে বিভাগীয় শহর রাজশাহী এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দিবারাত্রী যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করলেও গত প্রায় ৭-৮ বছর ধরে আঞ্চলিক এ মহাসড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে এ সড়কের ওই সব স্থানের খানাখন্দে বছরে দুই-চারবার নতুন পুরাতন ইট দিয়ে মেরামত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অবশ্য এসব খানাখন্দে প্রতিবার ৪/৫ শত নতুন এবং পুরাতন ইট ফেলে সড়ক মেরামতের নামে নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপথ এবং পতœীতলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছে।
পতœীতলা সওজ, সড়ক উপবিভাগীয় কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ মহাসড়কের ওই সব খানাখন্দ মেরামতে ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সূত্রমতে কোনো টেন্ডার ছাড়াই ওই সব মেরামত কাজ করে সংশ্লিষ্ট সড়ক জনপথ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা। বিধি মোতাবেক এ মহাসড়ক মেরামত কাজ হচ্ছে দাবি করে পতœীতলা সওজ, সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়