বিষাক্ত কেমিক্যালে নামি ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

সংক্রমণ বাড়ার পথ খুলল!

পরের সংবাদ

হাসপাতালে দালাল চক্র : ২৭ বিয়ে করা প্রতারক মামুনসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাহাদৎ হোসেন মামুন, মো. মহিন উদ্দিন মামুন, মো. রহমত উল্লাহ ও মো. আকরাম হোসেন। র‌্যাব জানিয়েছে, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স দালাল চক্রের হোতা এবং প্রতারক সাহাদৎ হোসেন মামুন। প্রতারণা করে সে মোট ২৭টি বিয়ে করেছে। বউদের পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক আদায় করাসহ তাদের দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করাত। এছাড়া সে খুলনা অঞ্চলের বহুল আলোচিত ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি এরশাদ সিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে তথ্য রয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, সম্প্রতি করোনা মহামারির সুযোগে এক শ্রেণির দালাল রাজধানীর কিছু হাসপাতালের যোগসাজশে সরকারি হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী স্থানান্তর করে হেনস্থা করছে। অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ ভাড়ায় ঢাকার বাইরে নিচ্ছে। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কমিশন নিচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবার বিভিন্ন পন্থায় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় করছে।
এমন সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই র‌্যাবের গোয়েন্দা দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও শ্যামলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা মো. সাহাদৎ হোসেন মামুনকে ৩ লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা ও ৫৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও প্রতারক মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শ্যামলীর ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে হাসপাতালের স্টাফ মো. মহিন উদ্দিন মামুনসহ বাকিদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মো. সাহাদৎ হোসেন মামুন একজন বড় মাপের প্রতারক। প্রতারণা করে সে মোট ২৭টি বিয়ে করেছে। তার প্রতারণার শিকার মূলত বিভিন্ন হাসপাতালের নার্সিং পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা সাধারণ রোগীরা। প্রতারক মামুন খুলনা অঞ্চলের বহুল আলোচিত এরশাদ সিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়। বর্তমানে সে হাসপাতাল চক্রের দালালি, মাদক ব্যবসা ও জাল টাকার ব্যবসা করছিল। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়