বিষাক্ত কেমিক্যালে নামি ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

সংক্রমণ বাড়ার পথ খুলল!

পরের সংবাদ

আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটির ওয়েবিনার : বজ্রপাত ঠেকাতে ১০ লাখ তালগাছ লাগাবে সরকার

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যু কমাতে জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। এই বজ্রপাত ঠেকাতে সরকার সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘বজ্রপাত ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে ও আইইবির সম্মানী সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুহার বেড়েছে। এখন শহরেও বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটছে। বর্তমান সরকার বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি রোধে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। তারপরও বজ্রপাতে মৃত্যুসংখ্যা থেমে নেই। গবাদি পশুপাখিও মরছে। এ থেকে বাঁচতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। বজ্রপাত মোকাবিলায় সরকার ১০ লাখ তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে তালগাছ লাগিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভিয়েতনামে মোবাইল টাওয়ারের আর্থিং সিস্টেমের মাধ্যমে বজ্রপাতে মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সব থেকে বেশি দরকার হলো মানুষের সচেতনতা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে নানক বলেন, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে এমনিতেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। শুধু বজ্রপাত নয়, সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে গাছ আমাদের সুরক্ষা দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ ও বনায়নের ওপর সর্বোচ্চ জোর দিয়েছেন। আসুন বেশি করে গাছ লাগাই। সঙ্গে কিছু তাল, সুপারি ও খেজুর গাছ লাগাই।
আবদুস সবুর বলেন, সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করেছে। গবেষণা বলছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাতের সংখ্যা ৫০ ভাগ বেড়ে যায়। দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, মানবজাতি প্রকৃতির কাছে অসহায়। বাংলাদেশে সাধারণত মে থেকে জুলাই মাসে বেশি বজ্রপাত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অন্যতম বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল এবং সিলেট জেলায় বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়