এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত

আগের সংবাদ

রূপগঞ্জে হতাহত বেড়েছে চার কারণে : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, আহত শতাধিক, এখনো নিখোঁজ ৫১ জন

পরের সংবাদ

ড্যানিশদের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এর আগে দুবার সেমিফাইনালে খেললেও শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে পারেনি থ্রি লায়ন্স টিম। এবার সেই অসাধ্য সাধন করেছে তারা। ১১ জুলাই ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হবে হ্যারি কেন বাহিনী। অর্থাৎ এবারের ইউরো দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় ছয় দশকের আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ ইংল্যান্ডের সামনে। তাই এই মুহূর্তে আজ্জুরিদের নিয়েই ভাবার কথা ইংল্যান্ডের। কিন্তু কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এখন একটু তুষ্টির জলে ভিজতে চান। ইতালিকে নিয়ে পরে ভাববেন তিনি, শত হলেও ইংল্যান্ডকে নিয়ে ইউরোর ফাইনালে উঠেছেন তিনি, সাক্ষী হয়েছেন ইতিহাসেরও।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মিকেল ডমসগার্ডের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সিমন কায়েরের ভুলে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। পরে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিসের পর ফিরতি বলের শটে জয় নিশ্চিত করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। ১২০ মিনিটের ম্যাচে ড্যানিশ দুর্গ গুঁড়িয়ে দেয়ার পর সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা এটা (ফাইনাল নিশ্চিত) করতে পেরেছি। আমরা জানতামও যে এটা করতে পারব। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে অনেক ভাগ্যবান। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের নিয়েও আমি অনেক সন্তুষ্ট। সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে এই ক্ষণটার জন্য আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি। খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত একটা কাজ সম্পন্ন করছে, তারা অনেক কম অভিজ্ঞতা নিয়ে এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছিল।’
ইংল্যান্ডকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসার ক্ষেত্রে হয়তো সবচেয়ে বেশি অবদান বারবার বর্ণবাদী তীরে বিদ্ধ হওয়া রহিম স্টার্লিংয়ের। ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার মিশনে প্রায় প্রতিটি ম্যাচে ক্ষণে ক্ষণে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভয় ধরিয়েছেন তিনি। গতকাল সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে গোল না পেলেও তিনিই ইংল্যান্ডের আনসাং হিরো। তার কল্যাণেই একমাত্র পেনাল্টিটি পেয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। পেনাল্টি মিসের পর সেটিকেই গোলে পরিণত করেছেন হ্যারি কেন। সেই রহিম ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘এটা ছিল টপ পারফরম্যান্স। আমরা ম্যাচের গভীর থেকে গভীরে ঢুকেছি। আমরা প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে সামলেছি। এটাও জানতাম যাত্রাটা সহজ হবে না। সব সময় শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগে ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। কোনো আসরেই পেরোতে পারেনি শেষ চারের বাধা। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার ম্যাচে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরুর গল্পটা ডেনমার্কের মিকেল ডমসগার্ডের। ৩০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক শটে ইংলিশ দুর্গ তছনছ করে দেন তিনি। এর আগে অবশ্য দুবার উল্লাসে মাতার উপলক্ষ এসেছিল ইংল্যান্ডের সামনে। দুবারই রহিম স্টার্লিং শট নিয়েছেন সোজা ক্যাসপার স্মাইকেলের গøাভসে। মিস করলেও ইংল্যান্ডকে নেতার মতোই সেমিফাইনাল উতরানোর পথ বাতলে দিচ্ছিলেন জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত ম্যানসিটি তারকা। তার কল্যাণেই সমতায় ফেরেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
মধ্যমাঠ থেকে হুট করে বাড়ানো পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে যান বুকায়ো সাকা। একটু সামনে এগিয়ে রহিম স্টার্লিংকে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। বল স্টার্লিংয়ের পায়ে পৌঁছার আগেই ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমন কায়ের নিজেদের জালে লক্ষ্যভেদ করেন। এ নিয়ে এবারের ইউরোতে আত্মঘাতী গোল হলো ১১টি, যা ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এবারের আসরে আত্মঘাতী গোলের শুরুটা করেছিলেন তুরস্কের মেরিহ দেমিরাল। বিরতির পর ম্যাচে ফিরে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে দুই দলের লড়াই। হ্যারি মাগুইয়ারের বেশ কয়েকটি হেডার গিয়ে মিলিয়েছে স্মাইকেলের হাতে। রহিম স্টার্লিংও ভয় ধরিয়েছেন ড্যানিশ শিবিরে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে ১০৪তম বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ঢুকে যান স্টার্লিং। দুই ডিফেন্ডার তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেনের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক। তবে ফিরতি শটে বল জালে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক। এ নিয়ে এবারের ইউরোতে ৪টি গোল হলো ইংলিশ অধিনায়কের। সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও প্যাট্রিক সিখকে ধরতে তার দরকার আর মাত্র একটি গোল। কেন কি পারবেন রোনালদো-সিখের সঙ্গী হতে? নাকি ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে তাদের ছাড়িয়ে যাবেন ২৭ বছর বয়সি এ স্ট্রাইকার?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়