মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস : মাদকের আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে হবে

আগের সংবাদ

৮০-তে পা রাখলেন ফেরদৌসী রহমান

পরের সংবাদ

হতাশ মিল্লাদের মুখে হাসি ফোটল ‘সুইট লেডি পেঁপে’

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সমীরণ চক্রবর্তী শংকু, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : শায়েস্তাগঞ্জে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ‘সুইট লেডি পেঁপে’ চাষ করে বাজিমাত করে সবার নজরে এসেছেন চাষি মিল্লাদ তালুকদার। নতুন জাত ও নতুন নামের এই পেঁপের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় না থাকায় উপজেলার কৃষকদের কাছে সুইট লেডি পেঁপের প্রতি আলাদা মনোযোগ পড়েছে। এর আশানুরূপ ফলনে অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে চাষি মিল্লাদ তালুকদারের ঠোঁটে। সে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাধীন বিরামচর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারের ছেলে।
জানা যায়, মুদিমাল ব্যবসায়ী মিল্লাদ তালুকদার তার ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে পুঁজি হারিয়ে যখন বেকার হয়ে পড়েছিলেন তখন অনেকটা শখের বসেই তিনি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ব্যবসায়ী থেকে হয়ে যান সফল চাষি।
মিল্লাদ সুইট লেডি জাতের ৩ শতাধিক পেঁপের চারা রংপুর থেকে সংগ্রহ করে নিজের ৩৬ শতক জমিতে রোপণ করেন। চারা রোপণের প্রায় তিন মাসের মধ্যেই প্রতিটি গাছে গড়ে ৩০টি করে পেঁপে ধরেছে। একেকটা পেঁপে ৫শ গ্রাম থেকে ৬শ গ্রাম ওজনের হয়েছে।
প্রতিদিন লোকজন আসছেন পেঁপে বাগান দেখতে। অনেকেই এখন এই নতুন জাতের ও নামের পেঁপে চাষ করার পরিকল্পনার করছেন। এ ব্যাপারে আবদুল গাফফার তালুকদার মিল্লাদ বলেন, মুদি ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরে তার বড় ভাই মাহমুদ কাদির তালুকদার বাচ্চু, মাসুদ তালুকদার ও আব্দুল জব্বার তালুকদার মুরাদের সহযোগিতায় পেঁপে চাষ শুরু করে প্রথমবারেই সফলতা পেয়ে যান। তিনি বলেন, জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার প্রয়োগ, বালাইনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি বাবদে শ্রমিকের মজুরিসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এখনই গাছ থেকে সপ্তাহে ২-৩ বার পেঁপে সংগ্রহ করা যাচ্ছে। কাঁচা পেঁপে পাইকারি মূল্যে কেজি ৩৫ টাকা করে বিক্রি করছেন। এক বছরে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৮শ থেকে ১ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাগান করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার টাকার কাঁচা পেঁপে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, সুইট লেডি পেঁপের জাতটি নতুন। এতে যেমন পোকার আক্রমণ হয় না তেমনি ফলনও হয় বেশি। তাই বেকার যুবকরা এই পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে সহজেই। মিল্লাদ তালুকদার তার প্রমাণ।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, সুইট লেডি পেঁপের জাতটি খুবই ভালো প্রচুর ফলন হয়। পোকা-মাকড় আক্রমণ করতে পারে না এ জাতের পেঁপেতে। যার ফলে বাম্পার ফলন হয়। উপজেলার মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মিল্লাদ তালুকদার প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন। এ জাতের পেঁপে চাষ করে সহজেই লাখপতি হওয়া সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়