মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস : মাদকের আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে হবে

আগের সংবাদ

৮০-তে পা রাখলেন ফেরদৌসী রহমান

পরের সংবাদ

ভেড়ামরায় চায়না জালে ধ্বংস হচ্ছে মা ও পোনা মাছ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : উপজেলার হাটবাজারগুলোতে দেখা মিলছে বাইম, টেংরা, শিং, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির দেশীয় পোনা মাছ, যা আকারে খুবই ছোট।
খবর নিয়ে জানা যায়, মাছগুলো ধরা হয়েছে অবৈধ চায়না বা ঢলুক জাল দিয়ে। ভেড়ামারার হিসনা নদী, মওলারবিল, বাহিরচরবিল, জিকে খাল, জুনিয়াদহ বিলে বর্ষার নতুন পানি এসেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশীয় পোনা মাছ নিধনের উৎসব। আগে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জালের নাম শোনা গেলেও এবার নতুন করে তৈরি হয়েছে চায়না জাল বা ঢলুক জাল। এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা আর ৪০ থেকে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ও ক্ষুদ্র পাশবিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির এই জাল। জালটি ব্যবহার করা হয় নদীর তলদেশ দিয়ে। কিছু অসাধু জেলে কৌশলে এ জাল পেতে রাখে নদীর তলদেশে। যেখানে শুধু মাছের পোনা নয়, ডিম পর্যন্ত আটকা পড়ে। সঙ্গে রয়েছে খেয়া জাল। তবে দিনের বেলায় এসব জাল চোখে পড়ে না। এলাকাবাসী জানান, দিনে নদীর মধ্যে খেয়া জালের শুধু কাঠামো পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাত হলেই জেলেরা খেয়া জাল দিয়ে শুরু হয় মাছ শিকার। ভোর হতেই জাল লুকিয়ে রেখে শুরু হয় মাছ বিক্রির ধুম। আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, এভাবে মাছের পোনা শিকার ও বিক্রি চলতে থাকলে একসময় দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে প্রকৃত ও পেশাদার জেলেদের প্রাপ্ত প্রণোদনা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে নিধন কাজ নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। মা ও পোনা মাছ নিধনরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, জনসচেতনতা জন্য মাইকিং করা হবে। দ্রুতই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়