মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস : মাদকের আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে হবে

আগের সংবাদ

৮০-তে পা রাখলেন ফেরদৌসী রহমান

পরের সংবাদ

তাড়াইলে বিলের মুখে অবৈধ বাঁধ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : তাড়াইলে জাওয়ার ইউনিয়নের মাখরান বিলের সঙ্গে বিভিন্ন খাল ও বিলের সংযোগ মুখে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়েছে জাওয়ার মৎস্যজীবী সমিতি। এতে নৌচলাচল ও পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মো. মুজিবুল হক চুন্নুর হাতে শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলার ছনাটি গ্রামের আবু তাহের মরাজ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ১৮৩ একর ৮৩ পয়েন্ট জমির মাখরান বিল জলমহালটি ৬ বছরের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভ্যাট ও আয়করসহ বার্ষিক ২৪ লাখ টাকা মূল্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে জাওয়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারা গ্রহণ করে। পরে সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহাব এবং সম্পাদক গোবিন্দ বর্মণসহ সমিতির লোকজন সরকারি নীতিমালা ও ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে বিগত বছরের মতো এ বছরও ছনাটি খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের নিচে, বোরগাঁও খালের ব্রিজের নিচে ও দামিহা থেকে জাওয়ার পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে নির্মিত চারটি কালভার্টের নিচে লোহার এবং কারেন্ট জাল দ্বারা বাঁধ দিয়ে প্রাকৃতিক মাছ ও পানি চলাচল, নৌকা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। বিলের মাঝখানে মাটির বাঁধ দিয়ে বিলটিকে দুভাগে বিভক্ত করে বিলের শ্রেণি পরিবর্তন করে, যা সরকারি নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। ওই এলাকার খাল ও কালভার্টের মুখে সৃষ্ট বাঁধের ফলে হাজার হাজার একর জমিতে পলি পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি হারানোর ফলে এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে বিল গ্রহীতারা লাভবান হলেও বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে স্থানীয় সুশীল সমাজ।
এছাড়া বিলসংলগ্ন আশপাশের গ্রামের লোকজনের নিজ রেকর্ডীয় জমি থেকেও মাছ ধরতে পারে না জাওয়ার মৎস্যজীবী সমিতির লোকজনের দাপটে। তাদের হামলা-মামলার ভয় দেখানো হয়। এর পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে স্বাক্ষরকারীরা জনস্বার্থে ব্রিজ ও কালভার্টের নিচ থেকে লোহার নেট এবং কারেন্ট জাল উঠিয়ে দেয়ার জন্য সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যাপারে মাখরান বিল গ্রহীতা জাওয়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ বর্মণ জানান, আমরা বিলে লাখ লাখ মাছের পোনা চাষের জন্য অবমুক্ত করেছি। মাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাময়িকভাবে নেট দ্বারা বাঁধ নির্মাণ করেছি। নৌকা চলাচল ও পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি নীরব থাকেন।
কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অভিযোগটি জনস্বার্থে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়