হৃত মর্যাদা ফেরত! : কাশ্মিরের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক নরেন্দ্র মোদির

আগের সংবাদ

বাদলা দিন আসছে!

পরের সংবাদ

দিল্লির বিরুদ্ধে চার গুণ বেশি অক্সিজেন চাওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অক্সিজেন চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা অক্সিজেন অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যা প্রয়োজন তার চেয়ে চারগুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি সরকার।
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে, দিল্লির একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেনের হাহাকার পড়ে। অক্সিজেনের অভাবে কয়েকটি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুও ঘটে। এ নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরই কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির অক্সিজেন বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়। এটা করতে গিয়ে অন্য রাজ্যগুলোর বরাদ্দ কমাতে হয়। অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, সেই সময় দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৩০০ টন অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, তবে দিল্লি সরকার চাহিদা বাড়িয়ে ১২০০ টনে উন্নীত করে। দিল্লির অতিরিক্ত চাহিদার কারণে অন্য ১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দেয়।
রিপোর্টে এ কথা বলা হলেও সে সময় দিল্লি সরকার বলেছিল, স্বাভাবিক অবস্থায় দিল্লিতে দৈনিক ৩০০ টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গে তা বাড়তে বাড়তে ৭০০ টন ছাড়ায়। তারা এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। শীর্ষ আদালত ওই পরিমাণ অক্সিজেন দিতে নির্দেশও দেয়। এক সময়ে তারা আরো বেশি, অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ১২০০ টন অক্সিজেন দাবি করে।

দেশে মেডিকেল অক্সিজেনের জোগান ও বিতরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ১২ সদস্যের জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ভবতোষ বিশ্বাস।
অক্সিজেন টাস্কফোর্স তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে, ১৩ মে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পরিবহনকারী ট্যাঙ্কার খালি করা যায়নি কারণ, হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ৭৫ শতাংশের বেশি ভর্তি ছিল। এছাড়া এলএনজেপি হাসপাতাল এবং এমস-এর মতো সরকারি হাসপাতালেও ট্যাঙ্ক ভর্তি ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়