১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

২৩ বছর পর ধরা পড়ল স্ত্রী ঘাতক ফরজ আলী

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : ফরজ আলী। বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ গোবধা গ্রামে। আজ থেকে ২৩ বছর আগে স্ত্রী হাসিনা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে অন্যত্র বিয়ে করে। ওই ঘটনার তদন্তে প্রমাণিত হয় ফরজ আলী নিজে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। আদালত ফরজ আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করলে আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু বিধিবাম, ২৩ বছর পর গত ২১ জুন পুলিশ সেই ফরজ আলীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
আদিতমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৮ জুলাই ওই এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে ফরজ আলী তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ভারতে পরে কুড়িগ্রাম জেলার ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলার এক সীমান্তে অবস্থান গ্রহণ করে। নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে ওই এলাকায় বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করে। এদিকে তার স্ত্রীর মৃত্যুটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড বলে প্রমাণ পায় পুলিশ। পরে আদালত স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ফরজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কিন্তু ফরজ আলী সবার অজান্তে কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কাটিয়ে দেয় জীবনের ২২-২৩টি বছর। নতুন করে আবারো বিয়ে, সন্তান, সংসার সবকিছুই করে। ফরজ আলী হয়তো ভুলেও গিয়েছিল, তার কোনো স্ত্রী ছিল যাকে সে নির্মমভাবে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু বিধিবাম, আদিতমারী থানা পুলিশ ২৩ বছর আগের টগবগে জওয়ান ফরজ আলীকে বৃদ্ধ অবস্থায় আবিষ্কার করে ফেলে। গত ২১ জুন রাতে তাকে কুড়িগ্রাম জেলার ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলার ওই সীমান্ত থেকে ভ‚রুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্য দিয়ে ২৩ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা টগবগে জওয়ান যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বৃদ্ধ ফজর আলীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ইতি টানা হলো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের।
রহস্য উদ্ঘাটন, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ, চার্জশিট দাখিল, ন্যায়বিচারের জন্য সাক্ষী হাজির করা এবং রায় বাস্তবায়নের জন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করণের মধ্য দিয়ে পুলিশি কর্মকাণ্ডের চ‚ড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটল। গ্রেপ্তারকৃত ফরজ আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়