১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে রাশিয়া

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, মস্কো মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং লাইংকে গত মঙ্গলবার এ কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ।
শোইগুর বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানায়, আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও বিশ^াস আছে তার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে লাইং চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে যান। অন্য এক প্রতিবেদনে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসা সামরিক জান্তার শাসনামলে নেপিডোর সঙ্গে মস্কোর একের পর এক দ্বিপক্ষীয় সফর ও অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে রাশিয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বৈধতা দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের। অভ্যুত্থানের পর এ বছরের মার্চেই রাশিয়া মিয়ানমারে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ক্রমাগত শক্তিশালী হয়েছে। মস্কো মিয়ানমারের সেনাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, তাদের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে বৃত্তি পেয়েছে দেশটির হাজার হাজার সৈন্য।
পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করলেও রাশিয়া তাদের কাছে সমরাস্ত্রও বিক্রি করে আসছে। গত মঙ্গলবার শোইগু-লাইংয়ের এ বৈঠক মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে আরো আত্মবিশ^াসী করে তুলল, বলে আশঙ্কা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে টানা বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও আইন অমান্য আন্দোলন চললেও তা সামরিক জান্তাকে একচুলও টলাতে পারেনি।
উল্টো যতদিন গেছে সামরিক বাহিনীর নিপীড়নের মাত্রাও ততই বেড়েছে। দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটশর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের ঘটনাবলির ওপর নজর রাখা একটি গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থানবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে গণমাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়