১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

মহামারিতেও মিলিয়নেয়ার বিশে^র অর্ধ কোটি মানুষ

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কোভিড-১৯ মহামারিতে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি সত্তে¡ও ২০২০ সালে বিশ^জুড়ে অর্ধ কোটির বেশি মানুষ নতুন করে মিলিয়নেয়ার হয়েছেন। মহামারির কারণে বিশে^ যখন অনেক গরিব মানুষ আরো গরিব হচ্ছেন, সেখানে বিশে^র কোটিপতিদের সংখ্যা আরো ৫২ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৬১ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে ক্রেডিট সুইসের গবেষণায় জানা গেছে।
শেয়ার বাজারের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এবং বিশেষ করে বাড়িঘরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া তাদের কোটিপতি হয়ে ওঠার পেছনে মূল ভ‚মিকা রেখেছে। গবেষকরা বলছেন, ধনসম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা গেছে মহামারির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে যেন একেবারেই আলাদা একটা বিষয়। অর্থনীতিবিদ এবং গেøাবাল ওয়েলথ রিপোর্টের লেখক অ্যান্থনি শোরকস বলেন, মহামারির কারণে বিশ^বাজারের ওপর একটি স্বল্পমেয়াদি প্রভাব পড়েছিল কিন্তু ২০২০ সালের শেষ নাগাদ তার বেশির ভাগ কাটিয়ে ওঠা গেছে। তিনি বলেন, বিশে^র ধনীদের সম্পদ এই বিপদের মধ্যেও শুধু যে স্থিতাবস্থায় থেকেছে তাই নয়, বরং বছরের দ্বিতীয় ভাগে তা আরো বেড়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে সম্পদের পার্থক্য ২০২০ সালে আরো বেড়েছে।
শোরকস বলছেন, তবে কিছু কিছু বিষয় ভবিষ্যতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন হতে পারে। যেমন কোনো একটা পর্যায়ে ব্যাংক সুদের হার আবার বাড়বে, তখন আবার সম্পদের মূল্য কমে যাবে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশে^ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ। একুশ শতকের শুরুতে যে পরিমাণ মানুষের কাছে অন্তত ১০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ডলার ছিল, তাদের সংখ্যা এখন তিনগুণ বেড়েছে। ২০০০ সালে এ রকম মানুষের সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ, ২০২০ সালনাগাদ সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি। গবেষকরা বলছেন, এই সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হচ্ছেÑ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সমৃদ্ধি বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে চীনের। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যবিত্তদেরও বিকাশ হচ্ছে।
ক্রেডিট সুইসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ন্যানেত্তে হেচলার বলেন, মহামারির কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জন্য বিশে^র সরকারগুলো এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহায়তা প্রকল্প নিয়েছে, সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে, তার ভ‚মিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ কারণেই মহামারির কারণে বিশে^র বড় একটি সংকট ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলছেন, ব্যাংকগুলো যে সুদের হার কমিয়েছে, সম্ভবত তার কারণেই বড় প্রভাব পড়েছে। এটা একটা প্রধান কারণ, শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাড়ির মূল্য বেড়েছে এবং এর ফলে আমাদের বিবেচনায় একেক জন ব্যক্তির সার্বিক ধনসম্পদ বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, ব্যাংকঋণের সুদের হার বিশ^ব্যাপী কমে যাওয়ায় তার প্রভাব সরাসরি শেয়ারের দাম ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ওপরে পড়ে। ফলে মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সেই সঙ্গে জিডিপির তুলনায় অনেক দেশে জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণও অন্তত ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়