১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

কোভ্যাক্সিন দুর্নীতি! : ব্রাজিলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এসেছে ব্রাজিলে! দেশটিতে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ সরকার, এ অভিযোগে মাস দুয়েক আগে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পার্লামেন্ট কমিটি। এতে উঠে এসেছে সরকারের ওষুধ ও ভ্যাকসিন আমদানি নিয়ে বিশাল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। যে দুই ওষুধ ও ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, সেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকের সূত্রে এতে জড়িয়ে গেছে ভারতের নামও।
মহামারির শুরু থেকেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার অভিযোগ ছিল ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা, প্রতিষেধক নেয়ার মতো বিষয়গুলোকে কখনো তেমন গুরুত্ব দেননি বোলসোনারো। এমনকি নিজের কোভিড-আক্রান্ত হওয়ার খবরও জানিয়েছিলেন রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে। তা-ও আবার মাস্ক না-পরে। অথচ মৃত্যুসংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রাজিল। সংক্রমণেও তারা এগিয়ে। স¤প্রতি এ তদন্তে জানা গেল, টিকা কিনতে ২০২০ সালের নভেম্বরে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয় বোলসোনারো প্রশাসনের। প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ২ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল ভারত বায়োটেকের। আট মাস পরেও তার একটি ডোজও পাননি ব্রাজিলের মানুষ। উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিন এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ব্রাজিলের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ছাড়পত্র পায়নি।
প্রশ্ন উঠছে, যে বোলসোনারো সরকার এক সময় ফাইজার বা অন্য প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, সেখানে কোভ্যাক্সিন কেনার জন্য ‘বিশেষভাবে ব্যগ্র’ হয়ে ওঠার কারণ কী! এখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যে স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, প্রশ্ন উঠছে তার ভ‚মিকা নিয়েও। তদন্ত কমিটির বিষয়টিকে সরাসরি দুর্নীতি বলেই অভিহিত করছেন। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের অন্দরেও। দেশটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে জানান, কোভ্যাক্সিন আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাকে ‘প্রবল চাপ’ দেয়া হয়েছিল। স্থানীয় এক সংবাদপত্রে দেয়া গোপন সাক্ষাৎকারে তার দাবি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠজনই ওই চাপ দেন। প্রতিষেধকের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে ভারত থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমদানি নিয়েও। করোনা চিকিৎসায় যে ওষুধটির তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রশ্ন উঠছে, বিপুল অর্থ ব্যয়ে ভারত থেকে সেই ওষুধ এবং অন্য সমস্ত টিকার থেকে বেশি দামে কোভ্যাক্সিন কিনতে কেন এত জোর দিচ্ছে বোলসোনারো সরকার। মধ্যস্থতাকারী সংস্থাটি কি তবে এর মাধ্যমে সরকারের থেকে লাভবান হয়েছে? তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সরকার এবং ওই সংস্থা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়