১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কুবি শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আহমেদ ইউসুফ, কুবি : বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্ত‚প। একাডেমিক ভবনগুলোর ওয়াশরুম ও বেসিন নিয়মিত পরিষ্কার না রাখায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করলেও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনের প্রতি তলায় ২টি বøকে ওয়াশরুম রয়েছে। যার সবগুলোই অপরিচ্ছন্ন এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পুরোটা স্থানই স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। এছাড়া প্রতি তলায় ৬টি বেসিন থাকলেও এর বেশির ভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী।
এছাড়া সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের পূর্ব পাশসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্ত‚প জমে আছে। নিয়মিত পরিচ্ছন্ন না করায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এদিকে প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম তলায় একমাত্র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটিতে নেই কোনো ধরনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে এসব বিষয়ের জন্য জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে ডিন অফিসকে দায়ী করেন বিশ^বিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার পরিচালক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনায় দীর্ঘদিন পর সশরীরে পরীক্ষা শুরু হলেও নিয়মিত বাথরুম ও বেসিন পরিষ্কার না করা ও পানির নষ্ট কলগুলো সময়মতো মেরামত না করার কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু একাডেমিক ভবনের কয়েকটি ছাড়া বাকি বাথরুমের অবস্থা একেবারেই নাজেহাল।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্ত‚প হয়ে আছে। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে অবশ্যই এসব বিষয় নিয়ে ভাবা উচিত। নতুবা শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।
বিশ^বিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুরো ক্যাম্পাস আমাদের নজরদারি করা সম্ভব হয় না। একাডেমিক ভবনগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য আমাদের জনবল থাকলেও তাদের পরিচালনার দায়িত্ব ডিন অফিসের।’
পরীক্ষা নেয়ার আগে এস্টেট শাখা পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে বলে সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘পরীক্ষার আগে তারা করেছে কী? ক্যাম্পাসে তো তারা ১০ জন জনশক্তি নিয়োগ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিয়ান চালিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এই বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, এই পরিস্থিতির সময়ে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই দরকার।
কারণ ময়লায় থাকা মশা ও মাছি থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে। যাদের শ^াসকষ্ট রোগ আছে তাদের জন্য এই অপরিষ্কার পরিবেশ খুব বিপজ্জনক। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, তারা এ কাজগুলো করে রাখে না কেন। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়