ঢাকা মহানগর আ.লীগ : দক্ষিণে সমাবেশ উত্তরে বিক্ষোভ আজ

আগের সংবাদ

১০ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ঘোষণা > ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি

পরের সংবাদ

ঢাবি নীল দল : বিজয়ের মাসে দেশে অপতৎপরতা কাম্য নয়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : বিজয়ের মাসে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল। গতকাল শুক্রবার নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুছ সামাদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম ও অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছুদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, একটি মহল দেশে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘিœত করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ১৯৭১ সালে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ আর আড়াই লাখের বেশি মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল। এই ডিসেম্বরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছিল।
এতে বলা হয়, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এ মাসেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবীদের কবরস্থান ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এবং বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃৃতিসৌধে লাখ লাখ মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়া হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। পবিত্র এ মাসের মর্যাদাকে অসম্মানিত করার জন্য ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসর নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা’ করতে কোনো বাধা নেই। একটি রাজনৈতিক দল কর্র্তৃক ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভার কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। কাজেই এদিনে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি তৈরি ৭১-এর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পাওয়া সত্ত্বেও একটি মহল কর্তৃক জনস্বার্থ বিঘœ করে রাস্তায় জনসভা করার অনড় অবস্থানের কারণে ৭ ডিসেম্বর পল্টনে একজন নিরীহ পথচারীর দুঃখজনক প্রাণহানি ঘটেছে, যা কোনো ক্রমেই কাম্য নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়