মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : ফরহাদকে সরানো হচ্ছে, মুস্তাফিজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আগের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

পরের সংবাদ

নিষ্ক্রিয় এনবিআরের ৩৪ শতাংশ ই-টিআইএনধারী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানা কাজে দরকার হয় করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন। প্রয়োজনে ই-টিআইএন নেয়া অনেকেই আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। ই-টিআইএনধারী অনেকেই মারা গেছেন, কেউ কেউ বিদেশ চলে গেছেন, আবার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি অনেকেরই।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, লাখ লাখ ব্যক্তি প্রয়োজনে ই-টিআইএন নিলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই সব টিআইএন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এসব করদাতা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে কর অঞ্চলগুলোর জন্য। বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানা কাজে দরকার হয় করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন। প্রয়োজনে ই-টিআইএন নেয়া অনেকেই আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। ই-টিআইএনধারী অনেকেই মারা গেছেন, কেউ কেউ বিদেশ চলে গেছেন, আবার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি অনেকেরই। তাদের অনেকের নামে থাকা আয়কর ফাইলও বাতিল করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ই-টিআইএন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সা¤প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিবন্ধন নেয়ার পর খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন টি-আইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ শতাংশ। বর্তমানে ই-টিআইএনের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ। এর মধ্যে নিষ্ক্রিয় করদাতার সংখ্যা ২৭ লাখ, যা শতকরা হারে ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা প্রায় ৩৪ শতাংশ। এই ২৭ লাখ বাদ দিলে নিট টিআইএনধারীর সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৫৩ লাখে। আইন অনুযায়ী, টিআইএনধারী প্রত্যেকের বার্ষিক রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার পরও রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী। রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বছরে আয়কর রিটার্ন জমার সংখ্যা ২৫ লাখ। আয়কর রিটার্নের সংখ্যা বাড়াতে এ বছরের বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
রিটার্নের সঙ্গে অ্যাকনলেজমেন্ট বা প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয় ৩৪টি সেবা খাতে।
এই উদ্যোগের ফলে এনবিআর আশা করছে, আগামী করবর্ষে আয়কর রিটার্ন বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অনেকেই জমি ক্রয়, গাড়ি কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন সেবা নিতে ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন, কিন্তু বছরের পর বছর রিটার্ন জমা দেননি। আবার অনেকেই মারা গেছেন, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছেন। ওইসব টিআইএন সিস্টেম থেকে বাতিল না করায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এ কারণে নিষ্ক্রিয় নম্বরগুলো কর বিভাগের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষ্ক্রিয় ই-টিআইএন বাতিল করতে স¤প্রতি কর অঞ্চল থেকে এনবিআরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ই-টিআইএনের সঙ্গে রিটার্ন জমার পার্থক্য নিয়ে বিভিন্ন মহল প্রশ্ন তোলে। ফলে নিষ্ক্রিয় টিআইএন বাতিল করা হলে রিটার্ন জমার হার বেড়ে যাবে।
এনবিআর বলছে, ই-টিআইএন সার্ভারে এটি বাতিলের অপশন বা সুযোগ রাখা হয়নি। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বইয়ে করদাতার নাম ও তথ্য নিবন্ধন করা হতো। এতে যে নম্বর পড়ত, সেটাই হতো করদাতার নম্বর।
একে বলা হতো জেনারেল ইনডেক্স রেজিস্ট্রেশন নম্বর। কোনো কারণে করদাতা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে যাচাই করে সেই নম্বর বন্ধ করে দেয়া হতো। ১৯৯৩ সালে ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের জুলাই থেকে টিআইএন পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা হয়। ১২ ডিজিটের এ নম্বরকে বলা হয় ইলেকট্রনিক ট্যাক্সপেয়ারস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ই-টিআইএন। স্বয়ংক্রিয় এ পদ্ধতিতে টিআইএন নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের আগস্ট নাগাদ নিবন্ধিত ই-টিআইএনের সংখ্যা ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৪। সে হিসাবে এক বছরে করদাতা বেড়েছে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬১ বা ১৮ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়