জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দুর্ভোগ

পরের সংবাদ

পূজা এবং আগামী দিনের ভাবনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুণময়ের আনুষ্ঠানিক সেবার নামই পূজা। ভগবৎ গুণের প্রকাশক ও পরিচায়ক দেবদেবীসমূহের পীত্যর্থে সার্বিক সেবা, গুণকীর্তন, প্রার্থনা, প্রণাম জানানোর আনুষ্ঠানিকতাকে পূজা বলা হয়। যে প্রতিমূর্তিরই পূজা করা হয় না কেন ওই পূজা হচ্ছে ভগবানের বিশেষ বিশেষ গুণের পূজা মাত্র। উদ্দেশ্য ভগবৎ গুণময় মৃন্ময়ের মাধ্যমে গুণময়ের পরিচয় লাভ। বিশেষ ভগবৎ শক্তি অর্জন করা এবং ভগবৎ গুণের মাঝে ডুবে তন্ময় হওয়া। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সপ্তম অধ্যায়ের ২১ নং শ্লোকে বলেছেন : যো যো যাং যাং তনুং ভক্ত: শদ্ধয়ার্”ি তুমিচ্ছতি/তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তাযেব বিদধাম্যহম্। অর্থ: যে ব্যক্তি ভক্তিযুক্ত হয়ে শ্রদ্ধাসহকারে যে যে দেব মূর্তি অর্চনা করতে ইচ্ছা করে আমি সেই সকল ভক্তের সেই সেই দেব মূর্তির প্রতি অচলা ভক্তির দান করি। দেখুন ভগবান সর্বব্যাপ্ত এবং সৃষ্টিই ¯্রষ্টার গুরুত্ব বহন করে। প্রত্যেকটি সৃষ্টিই ¯্রষ্টারই বিশেষ বিশেষ গুণ প্রকাশ করে। দেবী দুর্গা : দুর্গতিনাশিনী, মঙ্গলদাত্রী, সর্বশক্তিরূপা। মহাদেব: মঙ্গলের বাহক, ভগবানের স্থিরসত্তা। সরস্বতী: ভগবানের জ্ঞান শক্তির প্রতীক। ল²ী: ভগবৎ ঐশ্বর্যের প্রতীক। যেমন ধন, জন, সম্পদ, ভূমি ইত্যাদি। গণেশ: গণপতি। শস্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মুষিকনাশক, সর্পদমনকারী, জ্ঞানদাতা, কল্যাণদাতা, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সর্বকর্মের সিদ্ধিদাতা হিসেবে পূজিত। কার্তিক : দেব সেনাপতি। কালী : সৃষ্টি, স্থিতি, ও বিলয়কারিণী শক্তি। ভগবানে চলৎসত্তা ইত্যাদি। মূর্তিপূজা আরম্ভ হয় প্রায় ২০ হাজার বছর পূর্বে। চীন ও উত্তর আমেরিকার প্রাচীন মনুষ্য জাতির মাঝে ব্যবহৃত টোটেম স্তম্ভ এর প্রমাণ। প্রায় ছয় হাজার বছর পূর্বে মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা নগরীর লোথাল অঞ্চলে মূর্তি পূজার প্রমাণ পাওয়া যায়। শ্রীমদ্ভগবত গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১১/২৭/১৩-১৪ নং শ্লোকে বলেছেন সমস্ত জীবের আশ্রয় ভগবানের বিগ্রহ দুইভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। ক্ষণস্থায়ী অথবা স্থায়ী। কিন্তু স্থায়ী বিগ্রহকে আহ্বান করে তাকে বিসর্জন দেয়া যায় না। কিন্তু ক্ষণস্থায়ী বিগ্রহকে আহ্বান করার এবং বিসর্জন দেয়ার সুযোগ থাকে। পূজা সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে। একটি নিত্যপূজা অন্যটি নৈমিত্তিক পূজা। ভক্তরা ভগবানের বা দেবদেবীর শ্রী বিগ্রহকে নিত্য অর্থাৎ প্রতিদিন যে অর্চনা করেন তাই নিত্যপূজা। যেমন : বাড়িতে অনেকেই প্রতিদিন দেবদেবীর পূজা করেন। যখন কোনো বিশেষ নিমিত্তে বা তিথিতে ঘটে বা মূর্তিতে দেবদেবীগণকে আহ্বান জানানো হয় তাই নৈমিত্তিক পূজা। কিন্তু নৈমিত্তিক পূজার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তিথি শেষে দেব-দেবীগণ ওই বিগ্রহ থেকে অপ্রকট হন এবং ওই বিগ্রহকে জলে বিসর্জন দেয়া হয়। ভগবৎ ভক্তি ও বিশ্বাস জন্মানোর একটি কৌশল। এটি জ্ঞানী ভক্তের আধ্যত্ব সাধনার একটি ব্যবহারিক রূপ। ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রাহ্মণ তার আধ্যাত্ম সাধনালব্ধ শক্তি নিয়ে বিগ্রহের মাঝে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর পুরোহিত প্রাণাবিষ্ট প্রতিমূর্তির পূজার মাধ্যমে যজমানের ইহজাগতিক ও পরমাত্মিক বাসনা পূরণে সাহায্য করেন। এতে ওই গুণাবিষ্ট বিগ্রহের প্রতি মানুষের ভক্তি, বিশ্বাস দৃঢ় হয়। ভগবৎ বিভুতির প্রকাশক দেবদেবীসমূহের পূজার মাধ্যমে সাধক দিব্যশক্তি লাভ করে। দিব্যশক্তি হলো ঐশ্বরিক শক্তি। পরবর্তীতে পূজার তাৎপর্য অনুধাবন করার সাথে সাথে মানুষের মাঝে ভগবৎ শক্তির জন্ম লাভ করে। বিশ্বের দেশে দেশে ঐরূপ শত শত সাধক ও মুনিঋষি ছিলেন এবং এখনো আছেন যারা বিগ্রহ পূজার মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভগবৎ বিশ্বাস সৃষ্টি করেছিলেন। যেমন : মার্কণ্ডেয় ও মেধসমুনির মহামায়া আদ্যাশক্তি পূজা, সুরথ রাজার দুর্গাপূজা, শ্রীরামচন্দ্রের দুর্গাপূজা, শঙ্করাচার্যের শিব, সরস্বতী, চণ্ডী, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর গঙ্গাদেবীর পূজা ইত্যাদি। মানুষের হৃদয়সহ পূজার একাদশটি আধার আছে। লিঙ্গ, স্থণ্ডিল, বহ্নি, অম্বু, যন্ত্র, কুঢ্য, পটেষুচ, মণ্ডলে, বিশিখে, মুর্দ্ধানি, হৃদিবা-দশ কীর্ত্তিত। হৃদয়ের মাঝে হৃদয় দিয়ে পূজাই শ্রেষ্ঠ। পূজার গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। ১. পূজা ও দেব-দেবতার উৎপত্তি সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক গল্পীয় তাৎপর্য। ২. পূজা ও পূজার উৎপত্তি সম্পর্কিত সামাজিক তাৎপর্য। ৩. ঐশ্বরীয় গুণময়ের পরিচয় এবং ভগবৎ সৃষ্টি, স্থিতি, বিলয় ও জ্ঞানমূলক তাৎপর্য। ৪. পূজার আনুষ্ঠানিকতার সামাজিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। পূজার প্রচলন আছে সারাবিশ্বে। সভ্য জনগোষ্ঠী মূর্তি বা প্রতীক পূজা করেন ব্যাপ্ত চেতনা নিয়ে অর্থাৎ ভগবদ গুণের পরিচায়ক প্রতিমূর্তিতে গুণময় ভগবানের বিশেষ গুণের পূজা হিসেবে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আরব, দূর প্রাচ্য, গ্রিস, মিসর, ভারত, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব ও মধ্য এশিয়া এবং মহাসাগরীয় দ্বীপরাজ্যের ইতিহাসে মূর্তি ও প্রতীক পূজার অনেক ইতিহাস আছে। মূর্তিপূজা আরম্ভ হয় প্রায় ২০ হাজার বছর পূর্বে। চীন ও উত্তর আমেরিকার প্রাচীন মনুষ্য জাতির মাঝে ব্যবহৃত টোটেম স্তম্ভ এর প্রমাণ। প্রায় ছয় হাজার বছর পূর্বে মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা নগরীর লোথাল অঞ্চলে যে শস্য দেবী ও পশুপতির মূর্তি পাওয়া গিয়েছে তা যথাক্রমে শাকম্বরী (দুর্গা, কালী) ও শিবের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। বৈদিক যুগের শক্তি পূজা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, মিসর, গ্রিস ভূমধ্যসাগরীয় দ¦ীপাঞ্চলের শক্তি পূজার উৎস সূর্য দেবতা। বৈদিক যুগে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্বে তিন হাজার বছর পূর্বে মধ্যাহ্নকালীন সূর্যের নাম দেয়া হয়েছিল দুর্গা। সূর্যের অনুকল্প অগ্নিকে দুর্গা, কালী, মনোজবা ইত্যাদি নামে (শক্তির দেবী) হিসেবে বন্দনা করা হতো। বৈদিক সাহিত্যে শিবের অনেক নাম আছে। শিব-দুর্গা ও শিব-কালীর বর্তমান মূর্তি পরিকল্পনা খ্রিস্টীয় ২য় ও ৩য় শতক থেকে এসেছে। ঋক বেদে উল্লিখিত আছে: উপমহাদেশে যারা মূর্তিপূজা করত তাদের বলা হতো মুরদেব গোষ্ঠী। যতি নামে আর এক জনগোষ্ঠী ছিল যারা তান্ত্রিক যোগসাধনা করত। উল্লেখ্য, মূর্তি গড়ে সুরথ রাজা ও সমাধি বৈশ্য সত্যযুগে, ত্রেতাযুগে রাবন ও রামচন্দ্র এবং দ্বাপরে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য শ্রীকৃষ্ণের উপদেশে অর্জুন ও যুধিষ্ঠির মৃণ¥য়ী মায়ের পূজা করেছিলেন। তবে এরা সবাই শক্তি সঞ্চয় এবং সাধনায় সিদ্ধি লাভ করার জন্য পূজা করেন। তখনকার পূজা ছিল শুদ্ধ ও আচার নিষ্ঠ। পূজার অন্য একটি স্মরণীয় দিক হলো প্রাক বৈদিক, বৈদিক ও বৈদিক উত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি আচার-আচরণ ও তাদের মনবুদ্ধির বহিঃপ্রকাশবিষয়ক কর্মকাণ্ড পূজা ও পূজাপদ্ধতির সাথে সম্পৃত্ত করা হয়েছে। পূজাস্থানে অংকিত মণ্ডল, সর্বতোভদ্রোমণ্ডল পত্র, পুষ্প, শস্যাদি, ধুপ, হোমকাষ্ঠ, বিধি মাটি ও জল, ফলমূল, দীপ, চামর, শঙ্খ, সিঁদুর আবরণ, আভরণ, ইত্যাদির মাঝে রয়েছে মিশ্রসংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মে প্রকাশ। আর্যদের মাঝে প্রথমে মূর্তিপূজা ছিল না। তারা যজ্ঞাগ্নিতে তারা তাদের কল্পিত দেবদেবীর উদ্দেশ্যে হোম, প্রার্থনা, প্রণাম জানাতো এবং উৎসব অনুষ্ঠান করত। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের পূর্বে মূর্তিপূজার নিদর্শন নাই। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের পরে আর্যদের মধ্যে মূর্তিপূজার প্রচলন ঘটে। বর্তমান সময়ে দুর্গাপূজা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পূজার সময়ে বাড়িতে বাড়িতে নতুন জামাকাপড়, গৃহবধূদের নতুন নতুন শাড়ি, মোয়া, মুড়কি, নারু, সন্দেশ ইত্যাদি বানিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন চলে। আত্মীয় স্বজনদেরও এই সময়ে নতুন পোশাক দেয়া হয়। বিবাহিত মেয়েরা স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে বাপের বাড়িতে গিয়ে পূজা দেখে। এই পূজার সময় চণ্ডী পাঠ করা হয়। বর্তমান যুগে দুর্গাপূজায় যা আমরা দেখছি এবং করছি তা এক অনন্য সাধারণ পরিবর্তিত রূপ। এ সময়ে বৈদিক, প্রাক বৈদিক, বৈদিক উত্তর যুগের আচার-আচরণ উপকরণের ব্যবহার, সামাজিক পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনধারার বিভিন্ন বিষয়বস্তু সংযুক্ত হয়ে দুর্গাপূজা এক মহাপূজায় পরিণত হয়েছে। পারিবারিক ¯েœহ-প্রেমের ব্যবহারিক কর্মধারায় এখনকার দুর্গাপূজা অন্য উৎসব হতে এক অনন্য সাধারণে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে পূজার সময়ে কেউ কেউ অপসংস্কৃতিতে মেতে ওঠেন। মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে অশ্লীল নৃত্য ও গান বাজনা করে থাকেন। এ সময় ইংরেজি বা ব্যান্ড সংগীত বাদ দিয়ে বন্দনামূলক সংগীত বাজানো উচিত। এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করে শুদ্ধ চিত্তে পদ্ধতি অনুসরণ করে পূজা করলে সবার কাছে তা মনোরম ও অনন্যময় হয়ে উঠবে। শাস্ত্র বিধি অনুসারে দেবীর বিগ্রহ তৈরি করতে হবে। ব্রাহ্মণের শুদ্ধতা ও সঠিক মন্ত্রপাঠে বিগ্রহতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পূজায় অবশ্যই শুদ্ধ ও সাত্ত্বিক আহারের ব্যবস্থা করা উচিত। পূজাকে কেšদ্র করে চাঁদাবাজি যেন না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। প্রত্যেক পূজা কমিটির উচিত দেবীর সেবায় গুণগত মান যেন নিশ্চিত হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকা। দেবীকে যথার্থ মর্যাদা দেয়া না হলে যথাবিধি অনুসারে পূজা না হলে বড় বিপদ হতে পারে। যা কিছু শোভন সকলেই তার প্রশংসা করে বা আহ্বান করে। আমরা পূজার সময় কেউ কেউ সুরা বা মদপান করে থাকি। এটা শোভনীয় নয়। যে কোনো মানুষই এর নিন্দা করে। মনুসংহিতায় একাদশ অধ্যায়ের ৯১ নং শ্লোকে উল্লেখ আছে, কেউ যদি মোহবশত সুরা বা মাদক পান করে প্রায়শ্চিত্ত রূপে তাকে আগুনের মতো উত্তপ্ত সুরা পান করতে হবে তাতে তার শরীর দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হলে তবে সেই পাপ থেকে সে মুক্ত হতে পারবে। অথবা অগ্নির মতো উত্তপ্ত গোমূত্র, জল, দুধ, ঘি কিংবা গোময় জল ততক্ষণ ধরে পান করবে যতক্ষণ না মৃত্যু হয়। মনুসংহিতায় একাদশ অধ্যায়ের ৯৪ নং শ্লোকে আরো উল্লেখ আছে সুরা হলো অন্নের মলস্বরূপ। আবার পাপকে মল বলা হয়। এই কারণে সকলেরই সুরা পান করা উচিত নয়। সুরা বা মদ পান মহাপাপ। পূজার সময় পূজায় সর্বজনীনতা থাকবে। সকলের মাঝে যেনো আনন্দ উৎসাহ, উদ্দীপনা আসে পূজামণ্ডপগুলোতে সে ধরনের পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠান সকলের মাঝে সঞ্জিবনী সুধার মতো কাজ করে এবং সকলেই পছন্দ করে। পূজায় ধনী-গরিব বৈষম্য যেন না থাকে, কোনো উঁচু-নিচু ভেদাভেদ যেনো না থাকে এমন পরিবেশ হওয়া উচিত। মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে সম্প্রীতির বন্ধন যাতে দৃঢ় হয়, দৃষ্টি রাখা উচিত। পূজায় যে কোনো অপসংস্কৃতি পরিহার করা আজ বড় প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়