স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

সিলেট সিটি করপোরেশন : ১০৪০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরীর আরামবাগে একটি কনভেনশন সেন্টারে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এটি আরিফুল হক পরিষদের শেষ বাজেট। তবে বরাবরের মতোই এবারের বাজেটেও আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেটে উল্লিখিত আয়ের খাতগুলো হচ্ছে- হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের ওপর কর দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার ওপর কর ৮ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের ওপর কর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফি বাবদ ৮০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ইত্যাদি। অপরদিকে বাজেটে ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে- সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে ৫ কোটি টাকা, সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি খাতে ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর নাগরিক সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, নগর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাইড স্থাপন খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা ইত্যাদি। রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৯০ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। বাজেটে রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় বাবদ মোট ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণার বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরের ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বাজেট বক্তৃতায় সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যার কথা স্মরণ করে মেয়র বলেন, সা¤প্রতিককালের আকস্মিক বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের লাখ লাখ মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। সিলেট মহানগরবাসীও এই অসহনীয় কষ্ট ও দুর্দশা থেকে পরিত্রাণ পাননি। যা থেকে পরিত্রাণের পথ আমাদের জরুরি ভিত্তিতে খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে বাস্তবতাকে স্বীকার করেই আমাদের সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা ও বন্যা- এই দুটো বিষয়কে এক করে দেখলে চলবে না। দুটো বিষয় আলাদা। এবার আকস্মিক বন্যার কারণে টানা কয়েক দিন মহানগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার পানি নামতে পারেনি মূলত নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইনস্টিটিউট অব ওয়ারটার মডেলিং কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এসব প্রস্তাবনার মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নদী খনন করা, নিচু এলাকা যেমন- উপশহরে পানির পাম্পিং স্টেশন করা, ছড়ার সংযোগস্থলে স্লুইচ গেট তৈরি, ড্রেনের প্রশস্ততা আরো বাড়ানো।
শিক্ষার উন্নয়নে সিসিকের উদ্যোগ নিয়ে মেয়র বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন চারটি স্কুল পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষা খাতে আমার স্বপ্ন হচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষায় এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। মেয়র আরো জানান, নগরবাসী অনলাইনে পানির বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, অ্যাসেসমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স এবং বিভিন্ন ধরনের সনদ প্রাপ্তিসহ নানা ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৮শ ৫৫ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ ৬ লাখ ১০ হাজার ৭শ ২৯ জন এবং বুস্টার ডোজ ২ লাখ ২১ হাজার ৪৪ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়