কাগজ প্রতিবেদক : টার্গেট করা ব্যক্তিকে প্রথমে সালাম দিয়ে পথ আটকাতেন তারা। সালাম দেয়ায় পরিচিত ভেবে টার্গেট ব্যক্তি একটু থামতেন। চক্রের সদস্যরাও সাধারণ মানুষকে থামিয়ে সময়ক্ষেপণ করতেন। তখন আশপাশে তাদের অন্য সদস্যরা ঘাপটি মেরে বসে থাকতেন। এরপর সবাই মিলে হুমকি দিয়ে সবকিছু বের করে দিতে বলতেন। এতেও কাজ না হলে অস্ত্র আছে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টার্গেট ব্যক্তির সবকিছু নিয়ে সটকে পড়তেন তারা।
এমনই এক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মো. পিন্টু মিয়া ও মো. সুমন। সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট আগারগাঁও ডাক ভবনের সামনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এভাবে ৮০ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এই দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গতকাল বুধবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এ তথ্য জানান।
বলেন, রাজধানীতে সালাম দেয়া ও নেয়াকে পুঁজি করে একশ্রেণির ছিনতাই চক্র গড়ে উঠেছে। যাদের পুলিশি কথ্য ভাষায় ‘সালাম পার্টি’ বলা হয়। তারা ফুটপাতে মানুষকে সালাম দিয়ে গতিরোধ করে, এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সবকিছু কেড়ে নেয়। তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে চলতি পথে সালাম দিয়ে গতিরোধ করে পরিচিত হওয়ার ভান করে প্রথমে সময়ক্ষেপণ করতেন। পরে সবাই মিলে টার্গেট ব্যক্তির সবকিছু কেড়ে নিতেন। তারা অস্ত্রের ভয় দেখালেও তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না।
যেহেতু তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না, সাধারণ মানুষের মতোই ঘোরাফেরা করতেন তারা। তাদের সঙ্গে কোনো আলামত ছিল না। তাই চিহ্নিত করে গ্রুপটিকে ধরা কঠিন ছিল।
ডিসি বলেন, গত মঙ্গলবার কাওরানবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা মো. এনায়েত শেখ ও আব্দুর রহমান মুন্সী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সঙ্গে ওয়াকিটকি রাখতেন এবং নিজেদের র্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। তারা কাওরানবাজার মাছের আড়তে শ্রমিকদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখাতেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।