ওখানে পাহাড়ি এলাকায়
ঝোপ ও জঙ্গলে,
দরোজা-জানালা খুলে রাখলেও
চুরি নেই- রাহাজানি নেই!
দোকানপাটে কেউ না থাকলেও-
কোনো কিছু খোয়া যায় না!
তাদের তো নেই কোনো উচ্চশিক্ষা
নেই ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি
নেই কোনো নিরাপত্তা বাহিনী
নেই কোনো নজরদারি!
আর আমাদের এইখানে
ঘরে ঘরে দরোজায় দরোজায় তালা
গেটে গেটে সিসি ক্যামেরা,
ড্রইংরুমে কিছুক্ষণ গেস্ট বসিয়ে রেখে অন্যঘরে
যাওয়ার পর মনে হয়,
কিছু কি হারিয়ে গেল!
আমরা একেকজন ডালকুত্তা
ডালপুরি মুখে তুলে নিয়ে দৌড় দিই,
কোকিলের বেশ ধরে
কোকেন মুখে তুলে বেহুঁশ হয়ে পড়ি,
কোঁয়াজ¦রে কোঁকাই- তবুও চৌর্যবৃত্তি ছাড়ি না!
এইখানে ঘনঘন ধর্মালয়
এইখানে ঘনঘন শিক্ষালয়,
তবুও চারদিকে চোরছ্যাঁচোড় গিজগিজ করে
তরফদার থেকে কেরানি
কর্মকর্তা থেকে পদস্থ যে কেউ,
ফেউ হয়ে চোরামিতে দক্ষ ও উত্তীর্ণ হয়ে
ছাত্র নয়- হয়ে যায় একেবারে গুরু!
এইখানে শুভদৃষ্টির বদল চোরাদৃষ্টি!
নেকনজরের বদলে ভেকনজরের চাহনি!
ত্রাণকারীও লুট করে ত্রাণসমগ্রী,
ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় ফেলে দিই
একে অপরকে!
এ-সব দেখে গুটিপোকারা পর্যন্ত গুটি-শুটি হয়ে
আরো লজ্জায় সঙ্কুচিত হয়ে যায়!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।