কাগজ প্রতিবেদক : আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৪ জুন। এরপর ২ জুলাই শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১০ জুলাই। দীর্ঘ চোটে ক্লান্ত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বারবার ছিটকে যাওয়া আর ফেরায় এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন যে, এসব এখন আর খুব বেশি ছুঁতে পারে না তাকে। গত বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পিঠের চোটের কারণে সর্বশেষ ছিটকে গিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। এরপর গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সীমিত ওভারের সিরিজেও ডাক পেয়েছেন। টেস্ট দলের সদস্যরা চলে গেছেন আগেই, সীমিত ওভারের দলে থাকা ক্রিকেটাররা যাবেন আরো পরে। আপাতত মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন তারা। এমনিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও এখন পর্যন্ত সাইফউদ্দিন খেলেছেন ৫৮টি ম্যাচ। এ সময়ে বাংলাদেশ সীমিত ওভারে খেলেছে ১৩০টি ম্যাচ। ফলে অর্ধেকের বেশি ম্যাচই খেলা হয়নি সাইফউদ্দিনের। এর পেছনে বড় একটা প্রভাব আছে চোটেরও।
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন সাইফউদ্দিন। বয়সভিত্তিক আর জাতীয় দল মিলিয়ে টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশে খেলা হয়, প্রায় সব দেশেই সফর করেছেন তিনি। তবে এখনো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার হয়নি তার। সব ঠিক থাকলে সাদা বলের সংস্করণের দুটি সিরিজ খেলতে ২২ জুন দেশ ছাড়বেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। দেশে বসে এখন নিচ্ছেন সেই সিরিজের প্রস্তুতি। সাইফউদ্দিনের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অভিজ্ঞতাও প্রথম হতে যাচ্ছে এবার। তবে ‘হোমওয়ার্ক’ ঠিকই করে রেখেছেন বলেই জানালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২১০৫ রান ও ৭২টি উইকেটের মালিক, ‘ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশে আমি গিয়েছি, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবারই আমার প্রথম। হয়তোবা ওই কন্ডিশন বা উইকেট আমার জানা নেই। তারপর যেহেতু ইউটিউবের যুগ, বিভিন্ন ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখছি আসলে কত স্কোর হতে পারে। যেহেতু আমাদের আগে টি-টোয়েন্টি, ফলে যেসব টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ওরা খেলেছে, সেগুলো আমি দেখছি। যতটা ধারণা নেয়া যায় ম্যাচগুলো দেখে।
ইনজুরি সম্পর্কে সাইফউদ্দিন বলেন, আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ব্রেক থাকেই। আপনি যদি ঢাকায় গাড়ি চালান, একই গতিতে চালাতে পারবেন? ব্রেক দিতেই হবে। তো প্রত্যেকটা মানুষের জীবন (আলাদা), যারা অনেক ভাগ্যবান, দীর্ঘ সময় খেলে যেতে পারে ইনজুরি ছাড়া, দল থেকে খুব কম বের হয়। অধিকাংশ পেস বোলারই ইন এন্ড অফ থাকে। তো এটা জীবনেরই অংশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।