সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

একদিনেই ১২ বালুচকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান!

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : একদিনে ১২ জন বালুচ বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান সরকার। মোট ১২ জন বালুচ বন্দির মধ্যে ছয়জনকে মাদক কারবারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে ছিল খুনের অভিযোগ। গত মঙ্গলবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল নরওয়ের একটি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের দাবি অনুযায়ী, এই বন্দিদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলাও।
পশ্চিম এশিয়ার কিছু দেশে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ওই মানবাধিকার সংগঠনের এই তথ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তারা জানাচ্ছে, যে অপরাধে সংখ্যালঘু বালুচ বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে খুন এবং মাদক কারবারের অভিযোগ। মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে ছয়জন জেলে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়। অন্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যার অভিযোগে। যে মহিলাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, ২০১৯ সালে তাকে স্বামী-খুনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একদিনে ১২ জন বালুচ কারাবন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান।
ইরানে বারবার সংখ্যালঘু বালুচদের ওপর নানা কারণে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একটি তথ্য বলছে, তুলনামূলক লঘু অপরাধে বালুচদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ‘চালু’ হয়েছে ওই দেশে। ইরানে সংখ্যাগুরুরা শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী। অন্যদিকে, বালুচরা সুন্নি ধারা মেনে চলেন। দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করে আসছে, ইরানে সংখ্যালঘুদের জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হতে হয়। বিশেষত, উত্তর-পশ্চিমে কুর্দি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আরব ও দক্ষিণ-পূর্বে বালুচদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনের দেয়া তথ্য বলছে, ইরানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ বালুচ। ২০২১ সালে বিভিন্ন অপরাধে বালুচ বন্দিদের ২১ শতাংশের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়