নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

নারী ক্রিকেটে ফের বিতর্ক

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারী ক্রিকেট নিয়ে একের পর এক বিতর্কের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বছরের শুরুতেই নানা সমস্যার কথা জানিয়ে বিসিবি বরাবর অভিযোগপত্র জানিয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের পেসার জাহানারা আলম। সেই অভিযোগপত্রে ড্রেসিংরুমের নানা অসঙ্গতির কথার পাশাপাশি কোচ এ কে এম মাহমুদুল ইমনের সম্পর্কেও বলেছিলেন জাহানারা। জাহানারার অভিযোগের পর বেতন বকেয়ার কারণে আবারো আলোচনায় উঠে আসে বিসিবি। পাঁচ নারী ক্রিকেটার তাহিন তাহেরা, তাজিয়া আক্তার, ইতি মন্ডল, রুপা রায় ও শায়লারা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারিশ্রমিক পাননি। তাদের পারিশ্রমিক বকেয়া থাকা অবস্থায় লিগের নতুন আসর শুরু হতে যাচ্ছিল। এরপর তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট নারী ক্রিকেটের ম্যানেজার জাকি আব্দুল্লাহ ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে সমালোচনায় পানি ঢেলেছিলেন।
ফের আলোচনায় উঠেছে এই নারী প্রিমিয়ার লিগ। বিতর্কে আবারো শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট নারী ক্রিকেট। গত বুধবার বিকেএসপিতে ছিল নারী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের দুটি ম্যাচ। বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নারী ক্রিকেট দল ও বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি নারী ক্রিকেট দলের মধ্যকার ম্যাচটি ইনিংসপ্রতি ২০ ওভারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু চার নম্বর মাঠে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট নারী ক্রিকেট ও কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমি নারী ক্রিকেট দলের ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল ম্যাচ পরিচালকরা। বৃষ্টি নামার আগে ২৩.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করেছিল শেখ রাসেল।
ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় শেখ রাসেল অভিযোগ উঠিয়েছে, মাঠ পুরোপুরি খেলার উপযুক্ত থাকার পরও কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমিকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্যই মূলত ম্যাচটি শেষ না করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে অন্তত একটি পয়েন্ট পায় কেরানীগঞ্জ। এই অভিযোগ পাওয়ার পর সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এই কমিটির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে ইফতেখার বলেছেন, সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রবিবার এই কমিটি আম্পায়ারদের সঙ্গে বসবে। আপাতত এটিই করতে পারি আমরা। সকালে এ বিষয়ে শুনেছি আমি। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলে দিয়েছি। তিনি আরো যোগ করেন, শুনানি হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই ম্যাচের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি অন্য কোনো ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না। এটিই নিয়ম। ম্যাচ অফিসিয়ালরা জানিয়েছে, রানআপের জায়গায় কাদা জমে ছিল। তাই তাদের উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে। এই ম্যাচটিতে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ এমদাদুল হক। অন্যদিকে মাঠের দুই আম্পায়ার ছিলেন শফি কামাল স্বপ্নিল ও সাইদুর রহমান।
এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুনানি হওয়ার আগে এ তিনজন আর কোনো ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়