ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ছাত্ররাজনীতি হঠাৎ উত্তপ্ত কেন > জাতীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রের অংশ : ক্ষমতাসীন দল > নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতেই এই হামলা : বিএনপি

পরের সংবাদ

ভারতকে জাতিসংঘ : আরো রোহিঙ্গা পাঠিয়ে চাপ দেবেন না বাংলাদেশকে

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারত থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ পরিস্থিতিতে আরো রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে চাপ না দিতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। পাঁচ দিনের ঢাকা সফর শেষে গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ করেন।
ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনার বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি আমি অবগত। প্রায় হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের মতো আমরা ভারতকে অনুরোধ করতে চাই যে, ইতোমধ্যে এখানে প্রচুর রোহিঙ্গা রয়েছে। আরো রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ দেবেন না।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মালয়েশিয়াতে ২ লাখ, ভারতে ৪০ হাজার এবং ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের উচিত, নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে দেখভাল করা। আরো রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত চাপ দেয়া না হয়। এ বার্তা আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছে দেব।
তিনি বলেন, মিয়ানমার আশিয়ানের সদস্য। তাই আশিয়ানের দেশগুলোকে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই। ভাসানচর নিয়ে দাতা সংস্থাদের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ভাসানচরে সহায়তার জন্য দাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে তারা এই সহায়তা টেকসইয়ের বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এমন স্থানে তারা অর্থ দেবেন না- যা টেকসই নয়। কারণ সেই দেশের সরকারকে এ বিষয়ে দূতাবাসগুলোর জবাবদিহি করতে হবে।
ভাসানচরের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, চরটিতে ১ লাখ লোক রাখা সহজ নয়। বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য সেখানে আশ্রয় দেয়া। আর এটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আশা করি, সরকারের দৃঢ় নেতৃত্ব বর্ধিত আকারের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকামূলক কার্যক্রম ভাসানচরের শরণার্থীদের জন্য পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান ও ইউক্রেন সংকটের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ বজায় রাখা। আর এ কারণেই আমার বাংলাদেশ সফর।
কক্সবাজার ও ভাসানচরের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে সংকট মোকাবিলা করছে, তা বিশ্বকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। শরণার্থীদের জীবন নির্ভর করে তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের আচরণের ওপর। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই ও পরিকল্পিত সহায়তার আবেদন করেছি। অনুকূল পরিবেশে শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার চলমান উদ্যোগও বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে বেশ স্বল্প পরিসরে। মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। আমরা এটিকে বাড়াতে চাই। আর এ বিষয়ে মিয়ানমার সম্মতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা আলোচনার পরিধি বাড়াতে চাই। যাতে সংকটের সমাধান করা যায়। এ সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়