আইপিও আবেদন করতে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ

আগের সংবাদ

‘ইভিএম’ রেখেই ভোটের ছক!

পরের সংবাদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ডিএসএ নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) সাম্প্রতিক বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকের উল্লেখ করেন, যেখানে আগের বছরের তুলনায় ১০ ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনের একটি।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের খসড়া ‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মের জন্য রেগুলেশন’ এবং খসড়া ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, যদিও কোনো খসড়াই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশঙ্কা করি এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিক ও নিজেকে প্রকাশ করতে আগ্রহীদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয়া আমাদের সবার কর্তব্য। মুক্ত গণমাধ্যম বৈধ ও মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে রক্ষা করা হবে।
তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, যে কোনো জায়গায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ যাতে তাদের সরকার নির্বাচিত করতে পারেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।
আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, যুক্তরাজ্যের উপহাইকমিশনার জাবেদ প্যাটেল ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়