শুভ জন্মদিন : প্রেমিক কবি ফারুক মাহমুদ

আগের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলে পেয়ারা বাজার মন্দা

পরের সংবাদ

সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা : স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই চট্টগ্রামের পশুরহাটে

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না করোনার বিস্তার। এ অবস্থায় নতুন ‘হুমকি’ হয়ে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট। করোনার ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে কুরবানির পশুরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে করোনার সংক্রমণ ‘ভয়াবহ’ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা শনাক্ত ও মৃত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এর মধ্যেই জেলায় শতাধিক কুরবানির পশুরহাট বসছে। নগরীতে বসছে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৬টি কুরবানির পশুরহাট।
চসিক সূত্রে জানা যায়, এবার তিনটি স্থায়ী পশুরহাট বসবে নগরে। এগুলো হলো- সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার। এছাড়া বসবে তিনটি অস্থায়ী হাটও। সেগুলো হলো- কর্ণফুলী পশুরহাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুরহাট ও পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে খালি মাঠের পশুরহাট।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে শত শত গরু এসব হাটে ঢুকছে। শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা। বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমও। এদিকে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পশুরহাটগুলো করোনার হটস্পটে পরিণত হতে পারে। তাই কঠোর মনিটরিং করতে হবে। তা না হলে ঈদের পর করোনার সংক্রমণ ‘ভয়াবহ’ হতে পারে। তাই অনলাইনে গরু কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে কারোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। গত কয়েকদিন সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি হবে কিনা তা আসন্ন ঈদুল আজহার ওপর নির্ভর করবে। ঈদের পর সংক্রমণ নি¤œমুখী রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমরা যাই করি না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না মানলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পশুরহাটগুলো রাখা হবে কঠোর নজরের আওতায়। অমান্যকারীদের শাস্তি দেয়া হবে। চট্টগ্রামে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। পশুরহাটগুলোতে রাখা হবে কঠোর নজর। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের আনা হবে শাস্তির আওতায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে কুরবানির পশু আসছে। যতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হোক তা পালন করা সম্ভব হবে না। এটাই শঙ্কার বিষয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, চট্টগ্রাম এখন ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় কুরবানির পশুরহাট। পশুরহাটগুলোতে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়