বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন : জঙ্গলা বাঁধ দিয়েও নাসিরগঞ্জ বাজার রক্ষা করা গেল না

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কমলনগর (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : জঙ্গলা বাঁধ দিয়েও রক্ষা হলো না ল²ীপুরের কমলনগর উপজেলার নাসিরগঞ্জ বাজার। মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাটের পর নাসিরগঞ্জ বাজার ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বিতীয় কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হতো বাজারটিতে। বর্তমানে ৪-৫টি দোকান ছাড়া সবই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের দ্বিতীয় ব্যবসায়িক কেন্দ্র এ নাসিরগঞ্জ বাজার মেঘনার ভাঙনে হুমকির মধ্যে পড়লে স্থানীয়দের উদ্যোগে বাজার রক্ষায় গত বছর বর্ষা মৌসুমের আগে প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী মেঘনা নদীর পাড়ে একটি জঙ্গলা বাঁধ দেন এলাকাবাসী। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান নিজ উদ্যোগে সহযোগিতা করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো সহযোগিতা মেলেনি।
ওই সময় থেকে রামগতি-কমলনগরের বিভিন্ন স্পটে পানি উন্নয়ন বোর্ড আপদকালীন বরাদ্দ দিলেও নাসিরগঞ্জ বাজার রক্ষায় তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চলতি মৌসুমেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কমলনগর-রামগতির ১০টি স্পটে আপদকালীন বরাদ্দের নামে জিও টিউবে ডাম্পিংয়ের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু কমলনগরে ৫টি স্পটের মধ্যে নাসিরগঞ্জ বাজারের জন্য কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
সাধারণ মানুষের দাবি, যেসব স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড আপদকালীন বরাদ্দ দিয়েছে সেই স্পটগুলো নাসিরগঞ্জ বাজার থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অথচ জরুরি প্রয়োজনে নাসিরগঞ্জ বাজারের জন্য কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অন্তত একটি স্পটে নাসিরগঞ্জ বাজারের জন্য ২০০টি জিও টিউব ডাম্পিং করা হলে হয়তো বাজারটি রক্ষা পেত। বর্তমানে ওই বাজার সংলগ্ন হুমকির মধ্যে রয়েছে তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাসিরগঞ্জ দারুল আরকান নূরানী কওমী মাদ্রাসা ও নাসিরগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পরে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নাসিরগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম হাওলাদার জানান, স্থানীয়দের উদ্যোগে জঙ্গলা বাঁধ দিয়ে বাজার রক্ষায় শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। তাদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটু নজর দিলে বাজারটি বিলীন হতো না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালিপনার কারণে বাজারটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাজারে তার ৪টি দোকান-ঘরসহ বড় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মো. হানিফ, হোসেন আহমদ স্বপন ও মজনুসহ প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যবসায়ী সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছেন।
ল²ীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, রামগতি ও কমলনগরে মেঘনা নদীর তীর রক্ষায় প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়