তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

মরুর পোশাক দারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাহারার পুরুষরা নীল রঙের লম্বা ও বেশ ঢিলা এক ধরনের গাউন পরে। একে বলা হয় দারা। দারা নামের পোশাকটির উৎপত্তি আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে, উত্তর আফ্রিকানদের মাধ্যমে। অনেকের মতে সময়টা ৭ম অথবা ৮ম শতকে। সে সময় সাব-সাহারান ও উত্তর আফ্রিকার মানুষদের মধ্যে জিনিস বদল করে বাণিজ্য করা হতো। তখনই দারা পোশাকটির সন্ধান মেলে। বেশিরভাগই স্বীকার করেছেন, এই পোশাকের মূল কাজ সূর্যের তাপ ও মরুর বালিঝড় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। সাহারার ‘দারা’ অথবা ‘বউবউ’ মূলত বেশ লম্বা ও ঢিলা এক ধরনের গাউন। পুরুষদের কাছে পোশাকটি খুবই আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য। ‘ট্যাগেলমাস্টস’ কাপড়ের এক ধরনের পর্দা। একে ব্যবহার করা হয় পাগড়ির মতো করে। এই গাউন আর পাগড়ি একসঙ্গে ব্যবহার করে সাহারার ঐতিহ্যবাহী যাযাবর মানুষরা। বিবিসি ট্রাভেল বলছে, মধ্য মরুভূমিতে শরীরে পানি ধারণ করে রাখার জন্যও পোশাকটি সাহারার মানুষদের জন্য খুব দরকারি। প্রতিবেদনে আরো জানিয়েছ, জাপানের কিমোনো অথবা কাফতানের আদি উৎস প্রাচীন মেসোপটেমিয়া থেকে। দারা নামের পোশাকটি দেখতে অনেকটা এই কিমোনোর মতো। ভিন্ন ঘরানার বলে ফ্যাশন ইতিহাসে দারা আলাদা একটি জায়গা করে নিয়েছে। ধারণা করা হয়, দারা পোশাকের প্রথম সংস্করণটি এসেছিল হালপুলার (সেনেগালের প্রাচীন এক গোষ্ঠী) থেকে। দারা পোশাকটি পরার জন্য সামাজিক কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। সব শ্রেণির পুরুষরাই এ পোশাক পরতে পারতেন। তবে জীবনের অবস্থার ওপর নির্ভর করে রং পরিবর্তন হতো। ধনী ব্যবসায়ীরা চকের মতো ধবধবে সাদা দারা ও ট্যাগেলমাস্টস পরতেন। যে সব ব্যক্তি সাদা রঙের দারা কিনতে পারতেন না এবং কালো দারাও পরতে চাইতেন না, তাদের জন্য নীল রং সবচেয়ে ভালো ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়