সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। ঘটনাটি সর্বপ্রথম গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে উদঘাটিত হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পারসোনালি আইডেন্টিফাইবল ইনফরমেশনসহ (পিআইআই) ই-মেইলের তথ্য ফাঁস হয়েছিল। তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, থার্ড পার্টি পরিষেবা প্রদানকারীর ভুল কনফিগারেশনের কারণে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মী, চাকরির আবেদনকারী ও প্রতিষ্ঠানটির অংশীদারদের নাম, ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ও ব্যক্তিগত সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ফাঁস হয়েছে। পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ২০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ এ ঘটনার শিকার হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মুখমাত্র মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের নেটওয়ার্ক ও সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
মুখপাত্র আরো জানায়, এরই মধ্যে সার্ভারটির ত্রæটিগুলো গত ফেব্রুয়ারিতে ঠিক করা হয়েছে এবং থার্ড পার্টি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির ভুল কনফিগারেশনটিও ঠিক করা হয়েছে।
ঘটনার পর প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের উন্মুক্ত সার্ভারগুলো সুরক্ষিত করতে প্রোটোকলগুলোকে আরো শক্ত করেছে। ডিফেন্সস্কুপের এক প্রতিবদেনে উঠে এসেছে, যদিও এখন পর্যন্ত পিআইআইয়ের অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে প্রতিরক্ষা বিভাগ তথ্য ফাঁসের শিকার ব্যক্তিদের অবহিত করেছে। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আশ্বস্ত করেছে যে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে পরিষেবা প্রদানকারীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা।
সূত্র: টেকটাইমস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।