গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

ঈদের ছুটিতে নগরবাসীর নিরাপত্তায় সিএমপি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটিতে পড়ছে দেশ। ইতোমধ্যে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হতে চলেছে বন্দরনগরী। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকই ছুটে যাচ্ছে গ্রামে। তাই ঈদে ফাঁকা নগরীর নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতনতা অবলম্বন করতে বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপারেশন) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, এবার ঈদের লম্বা ছুটি থাকবে। এ জন্য চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক ধরনের এবং নববর্ষ নিয়ে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তিনি জানান, এ ছুটিতে থানার নিয়মিত টহল ও ফোর্সের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরো ৪শ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যারা ছুটিতে নগরবাসীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর বলেন, ছুটিতে আবাসিক এলাকাগুলোতে প্রতিদিন থানার নিয়মিত মোবাইল টিমগুলোর পাশাপাশি এলাকা বুঝে আরো দুটি বা একটি করে অতিরিক্ত মোবাইল টিম টহলে থাকবে।
সিএমপি থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬৮টি আবাসিক এলাকা রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাসিক এলাকা আছে পাঁচলাইশ থানার অধীনে। এছাড়া, কোতোয়ালি থানায় ১৩টি, বাকলিয়ায় পাঁচটি, চকবাজারে আটটি ও সদরঘাট থানার অধীনে আছে চারটি আবাসিক এলাকা। চান্দগাঁও থানা এলাকায় আটটি, খুলশীতে ২০টি, বায়েজিদে ১২, ডবলমুরিংয়ে ১০, হালিশহরে ১৭, পাহাড়তলীতে সাত, আকবর শাহ এলাকায় ১৬, বন্দর থানা এলাকায় তিনটি, ইপিজেড থানায় দুটি এবং পতেঙ্গা সাতটি ও কর্ণফুলী থানায় তিনটি করে আবাসিক এলাকা রয়েছে। এদিকে ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ লোকজন শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ায় বাসাবাড়িগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। সেগুলোর নিরাপত্তায় সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পুলিশের এসব নির্দেশনার মধ্যে আছে- বাসাবাড়ির দরজায় অধিক নিরাপত্তা সম্পন্ন অতিরিক্ত তালার ব্যবহার, ফাঁকা বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রেখে না যাওয়া ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেমন- সিসি টিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপন করা। এছাড়া আবাসিক এলাকাগুলোতে রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা ও নতুন নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবি সংরক্ষণ করা। এছাড়া আবাসিক এলাকাগুলোতে সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির ঘোরাফেরা দেখলে নিকটতস্থ থানায় অবহিত করতে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করারও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতকর্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সেটির তদারকি করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিযুক্ত করা। এছাড়াও ব্যাংকের নিজস্ব সিসি ক্যামেরাগুলো কাজ করছে কিনা সেগুলোর নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভল্টের চারদিকে সিসি ক্যামেরার কভারেজ নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়