গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

ইউএই থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বাড়বে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। শিগগিরই দেশটির মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী আয় পাঠানোর মাশুল ১৫ শতাংশ বাড়াবে। ৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর মাশুল বাড়তে যাচ্ছে। আরব আমিরাত এখন বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।
গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সরাসরি মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে অর্থ পাঠানোর খরচ বাড়লেও ডিজিটাল লেনদেনে ব্যয় বাড়ছে না। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা বিশেষ করে শ্রমিকরা ডিজিটাল লেনদেনে ঝুঁঁকে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিদ্ধান্ত অনুসারে, লেনদেনপ্রতি মাশুল বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ দশমিক ৫ দিরহাম। তবে এই মাশুল বৃদ্ধি শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠানের শাখাগুলোয় প্রযোজ্য হবে। আরব আমিরাতের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড রেমিট্যান্স গ্রুপভুক্ত (এফইআরজি) সব মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান এ মাশুল বাড়ানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছে।
জয়ালুকাস এক্সচেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্টনি জস গালফ নিউজকে বলেছেন, সংগঠনের সব সদস্যপ্রতিষ্ঠান মাশুল বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে। সম্ভবত আগামী মে মাস থেকে এ মাশুল বৃদ্ধি কার্যকর হবে। দেশটির ভোক্তা সুরক্ষা আইন অনুসারে, মাশুল বৃদ্ধির অন্তত দুই মাস আগে গ্রাহকদের জানানোর নিয়ম।
বর্তমান কাঠামো অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভারত ও ফিলিপাইনে প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ প্রতি লেনদেনে ২২ দিরহাম, আর যুক্তরাজ্যে পাঠানোর ক্ষেত্রে মাশুল ৫০ দিরহাম। এর বাইরে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়। পাকিস্তানে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাশুল ভারতের সমপরিমাণ হলেও প্রেরকদের কার্যত মাশুল দিতে হয় না, কারণ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ স্টেট অব পাকিস্তান মাশুল পুনর্ভরণ করে।
গালফ নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ বৈশ্বিক গড় মানের কাছাকাছি নিয়ে আসতে এই মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
লুলু ফাইন্যান্সিয়াল হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিব আহমেদ বলেন, জেনে রাখা দরকার, ১৫ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধির পরও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ রেমিট্যান্স হিসাবে পাঠানো অর্থের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের কম। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকে প্রবাসী পাঠানোর গড় খরচ ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ আরব আমিরাত প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ প্রতিযোগিতামূলক রাখার যে অঙ্গীকার করেছে, এটি তারই প্রতিফলন। আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর মাশুল বাড়লে দেশের প্রবাসী আয়ের প্রবাহে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়