মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

এনবিআর ও ইপিবির তথ্য : বৈধপথে বছরে ৫০০ কোটি টাকার পোশাক আমদানি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ২০২৩ সালে বৈধ উপায়ে দেশে ২ কোটি ৩৫ লাখ পিস তৈরি পোশাক আমদানি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০২ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালে ২ কোটি ৬৩ লাখ পিস পোশাক আমদানি হয়েছিল। তখন খরচ হয়েছিল ৪৬৬ কোটি টাকা। মূলত গত বছর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিমাণে কম পোশাক আমদানি হলেও খরচ বেশি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য থেকে এসব জানা গেছে।
তথ্য মতে, এবার ঈদুল ফিতরের আগে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে পোশাক আমদানি হয়েছে ৭৫ লাখ পিস, এতে ব্যয় হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। এসব পোশাক এসেছে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশ থেকে। তবে ৯৬ শতাংশই এসেছে চীন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে। ভারত থেকে মেয়েদের থ্রি-পিস, শাড়ি ও ছেলেদের পাঞ্জাবি বেশি আমদানি হয়। পাকিস্তান থেকে মেয়েদের থ্রি-পিস বেশি আসছে। আর চীন থেকে ছেলেদের টি-শার্ট, জার্সি, জ্যাকেট ইত্যাদি বেশি আমদানি হয়।
এনবিআরের পরিসংখ্যান মতে, গত বছর আমদানি হওয়া প্রতিটি পোশাকের গড় দাম ছিল ২১৪ টাকা। তার সঙ্গে শুল্ক কর যোগ হয় গড়ে ১২৭ শতাংশ। তাতে দাম দাঁড়ায় প্রায় পৌনে ৫০০ টাকা। এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে- ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৪ হাজার ৭৩৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এর মধ্যে ভারতে ৯২ কোটি ডলার, চীনে ৩৫ কোটি ডলার এবং পাকিস্তানে ২৮ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।
ইপিবি ও এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাকিস্তানে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রপ্তানি কম হলেও আমদানির পরিমাণ বেশি। দেশি মুদ্রায় গত বছর পাকিস্তানে ৩০ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৮ দশমিক ২৪ টাকা হিসাবে) পোশাক রপ্তানি হয়। তার বিপরীতে গত বছর ১৪৪ কোটি টাকার পোশাক আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে মেয়েদের সালোয়ার কামিজই আমদানি হয়েছে ১৩১ কোটি টাকার। গত বছর পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পোশাকের ৯০ শতাংশ ছিল মেয়েদের পোশাক। এর বাইরে ছেলেদের কিছু জিনস প্যান্ট এসেছে দেশটি থেকে।
অন্যদিকে, চীন ও ভারত থেকে আমদানির তুলনায় রপ্তানি বেশি বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের। গত বছর ভারত থেকে বৈধপথে আমদানি হয় ১৬৪ কোটি টাকার তৈরি পোশাক। তার তুলনায় রপ্তানি প্রায় ৬১ গুণ বেশি। গত বছর ভারতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকার পোশাক। এদিকে গত বছর চীনের বাজারে প্রায় ৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তার বিপরীতে ১৬৯ কোটি টাকার পোশাক আমদানি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমানে নন-ব্র্যান্ডের পাশাপাশি অনেক ব্র্যান্ডও বিদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে। আবার রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্যাম্পল বা নমুনা হিসেবেও পোশাক আমদানি করে। শুল্ক ও কর দিয়ে বৈধপথে বছরে ৫০০ কোটি টাকার পোশাক আমদানি হলেও লাগেজ পার্টি কিংবা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পোশাক আসছে। ফলে আমদানি হওয়া তৈরি পোশাকের পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলেই ধারণা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়