মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান : অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা স¤প্রসারণ, নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট।
গতকাল রবিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ইআরএফ সম্মেলন কক্ষে ‘ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড নেক্সট বাজেট’ শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিজিএমইএর পরিচালক শামস মাহমুদসহ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। আগামী বাজেট বিষয়েও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতিনির্ধারণী দলিলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারছে।
তিনি বলেন, আজকের সেমিনার থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, যা চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনমুখী, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সিপিডি বিশেষ ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ভুল সিদ্ধান্তের ফল এখনো ভোগ করছে জনগণ। সুতরাং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, একটা সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি ছিল। গত দুই বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নষ্ট হয়ে গেলো। পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও স্থবির হয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগামও কোনোভাবে টানা যাচ্ছে না।
বাজেটের আগে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শুনলেও, সমস্যা সমাধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ করেছেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি- উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে; এমন আশা করাটা বোকামি। বাজেটের আগে ঘটা করে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শোনা হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়