ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

শিবালয়-ঘিওরে মহাবারুণী স্নান উৎসব সম্পন্ন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় ও ঘিওরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাবারুণী স্নান উৎসব পালিত হয়েছে। অন্যদিকে চলবে সপ্তাহব্যাপী গ্রামীণ মেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্কন্ধ পুরাণ মতে, বাংলা সনের চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথী বারুণী নামে খ্যাত। কথিত আছে, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। তাই বারুণী স্নান গঙ্গা স্নানের প্রতিচ্ছবি। জনশ্রæতি আছে, কপিল মুনি এই বারুণী স্নানের সূচনা করেন। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) কৃষ্ণ ভক্ত সুরপতি গৌর দাসাধিকারী জানান, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পার্ষদ ও মহাবিষ্ণু অবতার শ্রী অদ্বৈত আচার্য কলিযুগে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর তীরে তাহেরপুরে জন্ম নেন। তিনি তার পিতামাতাকে গঙ্গা স্নান করানোর উদ্দেশ্যে ধ্যানমগ্ন হয়ে সপ্তগঙ্গাকে আহ্বান করেছিলেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সপ্তগঙ্গা সেখানে উপস্থিত হন এবং তার পিতা-মাতা পুণ্যলাভ করেছিলেন। তখন থেকেই মূলত এই গঙ্গা স্নান বা বারুণী স্নানের শুরু। আজকের এই তিথিতে যারা গঙ্গা স্নান করবেন তারা পুণ্যতীর্থের ফললাভ করবেন। গতকাল শনিবার ভোর থেকে শিবালয় উপজেলার আরিচার যমুনা নদীর তীরে (৪ নম্বর ঘাটের নিচে) বিশাল এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাবারুণী স্নান উৎসব। বারুণী স্নান উৎসব একদিন হলেও একে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বারুণী স্নান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কিন্তু সব ধর্মের মানুষের এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। ফলে এটি রূপ নিয়েছে সর্বজনীন মিলনমেলায়। এ মেলায় সার্কাস, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বায়স্কোপসহ চিত্তবিনোদনের নানা আয়োজন রয়েছে। এছাড়া মেলায় খই, বিন্নি, সাজ বাতাসা, মিষ্টি ও বিভিন্ন খাবারের দোকান বসেছে। পাশাপাশি রয়েছে হ্যান্ডিক্রাফট, খেলনা, প্রসাধনী, কাঠ বেত ও লোহার তৈরি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণ। ধারণা করা হয় এখানে উৎসব হয়ে আসছে দুইশ বছর ধরে। আরিচা ছাড়াও, ঘিওরের পুরাতন ধলেশ্বরী নদী ও তরা এলাকার কালিগঙ্গা নদীতে বারুণী স্নান যাত্রা হয়ে থাকে। শিবালয় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি রথীন সাহা জানান, গঙ্গা পূজা সমাপ্তে ভোর থেকে স্নান যাত্রা শুরু হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে। শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমাজ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, এই উৎসবকে সুষ্ঠু এবং সুন্দর করার জন্য তাদের সমিতির সব সদস্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, বারুণী স্নান উৎসব যাতে উৎসবমুখর হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, দেশের মানুষ অসম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাসী। মানুষ একে অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিবালয়ের বারুণী স্নান উদযাপনের জন্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়