ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

মাগুরায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর আত্মহত্যা, নানা প্রশ্ন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা থেকে : মাগুরার শালিখা উপজেলার গোপাল গ্রামের এক ভাড়াবাসায় কাজী রুনা খাতুন (৩৫) নামের এক এ এস আইয়ের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শালিখা থানা পুলিশ। নিহত রুনা খাতুন মাগুরা সদর থানার এ এস আই সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও গোপালগঞ্জ জেলা শহরের কাঠপট্টি এলাকার বাসিন্দা মৃত কাজী গোলাম মোস্তফার কন্যা। গতকাল শনিবার ভোরে শালিখা উপজেলার গোপাল গ্রামের প্রবাসী তাহের উদ্দীনের ভাড়া দেয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী মিজানুর রহমান বিশ্বাস জানান, ভোরে সেহেরি খাওয়ার পর ‘আমাকে বাঁচাও’ বলে মহিলা কণ্ঠস্বরে চিৎকার শুনতে পান। কিন্তু পরে আর চিৎকার শুনতে পাননি। সকালে শুনতে পান দারোগার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশের দুই হাঁটু মেজেতে লাগানো দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, যার ফলে পুলিশ তার দুই ছেলে ফয়সাল ইসলাম রাতুল (২২) ও মোহাম্মদ আলী (১৫) এবং বড় ছেলের স্ত্রী হৃদরী খাতুনকে (১৮) থানায় নিয়ে যায়। নিহতের বোন শারমীন সুলতানা সীমা জানান, ২০০২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী মৃধার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে রুনার বিয়ে হয়। সাইফুল পুলিশের চাকরি করায় তাদের বিভিন্ন জেলায় থাকতে হয়েছে। ইতোপূর্বে সাইফুল শালিখা থানায় কর্মরত অবস্থায় গোপাল গ্রামের প্রবাসী তাহের উদ্দীনের বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবারে বাস করে। বর্তমানে সাইফুল মাগুরা সদর থানায় কর্মরত হলেও এই বাসাতেই থেকে যায়। শারমীন আক্তার সীমা আরো বলেন, আমার বাবা মারা গেলে সাইফুল ও তার দুই ছেলে আমার বাবার বাড়ির বোনের অংশের সম্পত্তি বেচার জন্য আমার বোনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। নিরুপায় হয়ে আমার বোন রুনা তার অংশের সমুদয় সম্পত্তি বেচে স্বামীর হাতে তুলে দেয়। আমার দুই ভাগ্নে ও ভাগ্নে বউ মাদকাসক্ত হওয়ায় আমরা কেউ তাদের বাসায় যেতাম না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সীমা। তিনি আরো বলেন, আমার বোনকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা সকালে সংবাদ পেয়ে গোপালগঞ্জ থেকে এসে মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। শারমীন আক্তার সীমার স্বামী জানান, ডাক্তাররা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও শালিখা থানার ওসি আমাদের মামলা নেয়নি। আমরা আদালতে যাব। প্রয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলন করব। কেন আমাদের মামলা নেবে না? শালিখা থানা হেফাজতে থাকা এ এস আই সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে পুলিশ কথা বলার অনুমতি দেয়নি। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, সাইফুল রাতে থানার ডিউটিতেই মাগুরাতে ছিল। সকালে সে স্ত্রী মারা যাওয়ার সংবাদ পায়। শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ছেলে ও ছেলের বউকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়