ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

তাহিরপুর : শাহ্ আরেফীন (র) ওরস ও গঙ্গাস্নানে ভক্তদের ঢল

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, তাহিরপুর থেকে : তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউগেরগড় হযরত শাহ্ আরেফীন (র)’র ওরসে আশেকান ও ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সীমান্ত নদী যাদুকাটায় পণতীর্থ গঙ্গাস্নান ও অদ্বৈত্য মহা প্রভুর আখড়াবাড়ি রাজারগাও নবগ্রামে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। গত শনিবার সকাল থেকে গঙ্গাস্নানের শেষ সময় ছিল দুপুর পর্যন্ত।
জেলা শহর থেকে এক ঘণ্টার পথ ৬ ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে দুই সাধকের ভক্ত আশেকানদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। ওরসস্থল লাউড়েরগড় শাহ্ আরেফীন (র)’র আস্থানা, যাদুকাটা নদীর দুই তীর এবং অদ্বৈত্য আখড়াবাড়িতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় ৪ লক্ষাধিক নারী, পুরুষ এসেছিলেন মনের বাসনা পূরণ করতে এবং গঙ্গাস্নান করে নিজেকে কুলষমুক্ত করতে।
রাজধানী ঢাকা থেকে আসা অদ্বৈত্য মহাপ্রভুর ভক্ত অংকন সরকার এসেছেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি বছরই চেষ্টা করি এখানে এসে স্নান করে নিজেকে কুলষমুক্ত করে মনবাসনা পূরণ করতে। একটু কষ্ট হয়েছে সুনামগঞ্জ থেকে আখড়াবাড়ি পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ আসতে হয়েছে প্রায় ৬ ঘণ্টায়। পুরো রাস্তাজুড়ে প্রচুর যানবাহন চলাচল করায় যানজটে পড়ে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওর এলাকা শাল্লা থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মী জয়ন্ত সেন ও প্রীতম দাস এসেছিলেন মায়ের পিণ্ডদান এবং অস্থি বিসর্জন দিয়ে গঙ্গাস্নান করে নিজেদের কুলষমুক্ত করতে। নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো ছিল। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
হজরত শাহ্ আরেফীন (র)’র আস্থানায় ওরসে আসা নেত্রকোনার মদন উপজেলার আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বাবার ওরসে আসি মনবাসনা পূরণের জন্য। এখানে আসলে মনে এক ধরনের প্রশান্তি মিলে।
সিলেটের শাহ্পরান থেকে আসা ভক্ত হৃদয় হাসান বলেন, এখানে শতশত বছর ধরে ওরস উদযাপন হয়ে আসছে। দেশের নানা অঞ্চল থেকে দুই লক্ষাধিক ভক্ত আশেকান শতশত কাফেলা নিয়ে এখানে তিন দিন থাকেন নিজেদের মনবাসনা পূরণ করতে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন জানান, আখড়াবাড়ি, পণতীর্থ ধামে গঙ্গাস্নান, গড়কাটি ইসকন মন্দির, বারুণী মেলা ও ওরশস্থলে পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর ৪টি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এছাড়া দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা আগতদের দেহ, ব্যাগ তল্লাশিসহ ডিএসবি, সাদা পোশাকধারী পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি এবং ঝুঁকিপূর্ণ সড়কগুলোতে দিবারাত্রি যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তায় পুলিশ টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে ওরস ও স্নান এলাকায়। এমনকি সব ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে স্নান এলাকা ও ওরসস্থলে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়