পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা যুবক গ্রেপ্তার : ডাস্টবিনে বস্তাবন্দি মরদেহ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের শিশু নুসরাত ওরফে সুখীকে ফুঁসলিয়ে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে মুরাদ হোসেন নামে এক যুবক। ধর্ষণের পর শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার জন্য ইফতারের সময় যখন রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায় তখন মুরাদ লাশটি বস্তাবন্দি করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরের বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী আসামি মুরাদ হোসেন এর আগেও কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণের পর খুনের দায়ে জেল খাটেন। মুরাদ বর্তমানে নগরীর বাকলিয়া বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ জোন) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সুখীদের বাসা বাকলিয়া থানা এলাকায়। অভাবের সংসারে মা বিলকিস বেগমের সঙ্গে শিশুটি প্রতিদিন আন্দরকিল্লা এবং কোতোয়ালি এলাকায় বোতল কুড়াতে যায়। খুন হওয়ার আগের দিন রবিবার রাত ১২টার দিকে তার মা একটি দোকানের সামনে বসিয়ে বোতল সংগ্রহে গিয়েছিল এবং ফিরে এসে তিনি তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর সোমবার রাতে ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় ডাস্টবিনে। আমরা ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে তাকে বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামি মুরাদ ভাঙারি সংগ্রহ করে ব্যবসা করে। সে এই শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে ওই দোকানের সামনে থেকে কোতোয়ালি থানাধীন একটি পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। ধর্ষণের পর শিশুটি জ্ঞান হারালে তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ গুম করার চেষ্টা করতে থাকে। ঘটনার দিন ইফতারের সময় যখন রাস্তাঘাট ফাঁকা হয় তখন লাশ গুম করার উদ্দেশে সে লাশটিকে ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর আগেও মুরাদ শিশু ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় জানিয়ে ডিসি বলেন, প্রাথমিকভাবে খুনের কথা সে স্বীকার করেছে। সে এর আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণের পরে খুনের ঘটনায় জেলও খেটেছে বলে তথ্য পেয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে সে অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী। সে যেখানেই সুযোগ পায় শিশুদের টার্গেট করে। এর বাইরে আর কোনো অপরাধে মুরাদ ইতোপূর্বে জড়িয়েছিলেন কিনা তা আমরা তদন্ত করব। এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আসামি শিশুটিকে আগে থেকে টার্গেট করে। সে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে প্রায়ই মেয়েটির মা তাকে একা একা ওই জায়গায় বসিয়ে বোতল কুড়াতে যায়। আগে থেকেই সে বিষয়টি ফলো করত। সেই সুযোগে আসামি মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডে ফলমন্ডির সামনে ডাস্টবিনে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মা গিয়ে তার মেয়েকে শনাক্ত করেন। শিশুটির দেহের স্পর্শকাতর স্থানে রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়