পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

পুরান ঢাকা আর ঝুঁঁকিপূর্ণ রাখব না : ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুরান ঢাকায় এখনো যেসব রাসায়নিক গুদাম আছে, ঈদুল ফিতরের পরেই সেগুলোর বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পুরান ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এটা প্রতিনিয়তই ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর, কারখানা দরকার তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গিয়েছেন। আমরা তাকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলের ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক স্টেকহোল্ডার মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়া, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, পুরান ঢাকায় যারা এখনো রাসায়নিক ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি আমার নিবেদন আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হোন। না হলে ঈদের পরে আমরা চিরুনি অভিযান করব।
রাসায়নিক মালামালের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবনগুলো দরকার হলে সিলগালা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমাদের তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে আছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান চালাব, সবগুলো বন্ধ করে দেব। আরেকটি বিষয় হলো, সেসব ভবনের উপরের অংশ আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন, আবার নিচে গুদামঘর, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই দরকার হলে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করে দেব। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য আমাদের কেউ দোষারোপ করতে পারবেন না।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বাংলাদেশের জিডিপিতে ঢাকার অবদান ৪৬ শতাংশ, আর ঢাকাকেন্দ্রিক যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে পুরান ঢাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান প্রায় ৪০ শতাংশ। সুতরাং পুরান ঢাকার যানজট কমাতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বিদ্যমান সমস্যাগুলোর আশু সমাধান অত্যন্ত জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়