সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আগের সংবাদ

অর্থপাচার বাড়ছে যে কারণে

পরের সংবাদ

গানের মাঝেই থাকবেন বেঁচে

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ব্যান্ডশিল্পী খালিদ আনোয়ার
সাইফুল্লাহ। খালিদ নামেই পরিচিতি তার। মুগ্ধকর কণ্ঠের এই শিল্পীর ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’- এমন অসংখ্য গানে বিরহ যাপন করেন শ্রোতারা। সোমবার সন্ধ্যায় তাকেও আর ফেরানো গেল না। এ গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে শোবিজ অঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তারকারা

সেও কি অভিমানে আমাদের ছেড়ে গেল!
সুজিত মুস্তাফা

আহারে খালিদ। আশির দশকের শুরুতে টিএসসির সাংস্কৃতিক অঙ্গন যখন আমরা ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছি তখন খালিদ প্রায়ই আসত আমাদের টিএসসির আড্ডায়।
সে ব্যান্ডের গায়ক কিন্তু আমাদের ধারার গানগুলো সে অবলীলায় এবং ভারী মিষ্টি সুরেলা কন্ঠে গাইত। সহজে মিশত সবার সঙ্গে। আমরা যারা রবীন্দ্র, নজরুল, ফোক বা বেসিক বাংলা গান করি, আমরা কখনোই ওকে আমাদের থেকে আলাদা কেউ ভাবতে পারিনি। খালিদের চাইম ব্যান্ড তখন আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং সে যে দীর্ঘস্থায়ী আসন নেবে সেটাও কেন জানি আমাদের মনে হয়েছিল। সেই খালিদ চলে গেল। কেন এই অকাল প্রয়াণ আমি জানি না। সেও কি অনেক অভিমানে আমাদের ছেড়ে গেল?

প্রিয় মানুষের বিদায়
মেনে নিতে কষ্ট হয়
সাইদ হাসান টিপু

অবসকিওর’ ব্যান্ডের ভোকাল টিপু একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন খালিদের সঙ্গে। সঙ্গে বলেছেন, ‘বিটিভিতে দেখা, বলেছিলাম খালিদ ভাই আপনার সঙ্গে আমার কোনো ছবি নেই। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রিয় মানুষের বিদায় মেনে নিতে কষ্ট হয়। ভালো থাকবেন ভাই।’
প্রতিভাবান গায়ক খালিদ
শাফিন আহমেদ

‘মাইলস’ তারকা শাফিন আহমেদ তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সুকণ্ঠের অধিকারী, প্রতিভাবান গায়ক খালিদ (চাইম ব্যান্ড), যে শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়েছিল তার গান দিয়ে। সেই খালিদের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি ভীষণ শোকাহত।’

সবাইকে কাঁদিয়ে
চলে গেলেন
লতিফুল ইসলাম শিবলী

ব্যান্ড মিউজিকের গীতিকবি লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা গানেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন খালিদ। যার শিরোনাম ‘যতটা মেঘ’। সেই গানের স্মৃতি টেনেই খালিদের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন শিবলী। লিখেছেন, ‘সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন খালিদ ভাই। আমি তার জন্য একটা গান লিখেছিলাম- ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, ততটা মেঘ বুকে রেখেছি পুষে, কীভাবে আমায় তুমি কাঁদাবে বলো?’। প্রিয় খালিদ ভাই, মহান আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’।

নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি
ছিল উদাসীন
শুভ্রদেব

গত মাসেই দেশ টেলিভিশনে খালিদের লাইভ অনুষ্ঠান ছিল সেইখানে আমি ফোন করে খালিদের সঙ্গে কথা বলি,ওই ছিল আমার সঙ্গে তার শেষ কথা। তার গানের প্রশংসা করাতে বলেছিল, ‘বন্ধু আমারে আর কান্দাইস না’। লাইভে অনেক দরদ দিয়ে গানগুলো গাইছিল খালিদ। অনেক বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আমাদের। চাইমের টুলু আমার অনেক পুরনো বন্ধু। সেই সময় টিএসসিতে অনেক সময় আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, খালিদও আসত। একবার খুলনায় আমরা একসঙ্গে কনসার্টও করেছিলাম। তার গানের বিশেষত্ব ছিল-সে অনেক সুরে গান গাইত আর তাই পেয়েছিল জনপ্রিয়তা। সবকিছু সরলভাবেই দেখত, মনটা ছিল অনেক ভালো। কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি ছিল উদাসীন। খালিদ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার গান বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে চিরদিন গোলাপের গন্ধের মতো মিষ্টি এক অনুভব অনুভূতি নিয়ে।
জাতি হারাল নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে
আসিফ

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘ কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর, যৌবনের প্রিয় গায়ক খালিদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একজন শিল্পী। জাতি হারাল নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে।’

:: বিনোদন ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়