বিআরটিএ চেয়ারম্যান : টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত

আগের সংবাদ

মুনাফার টার্গেট ইফতার পণ্য

পরের সংবাদ

সূর্যজ্যোতির পাখি : সাবিনা পারভীন লীনা সম্পাদিত

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তাই মুক্তিযুদ্ধকে জানার জন্য মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচিত হওয়া প্রয়োজন। সম্ভবত এই বিষয়টি সর্বপ্রথম অনুধাবন করেছিলেন পুথিঘরের মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি তা অনুভব করে কাজটি শুরুও করেছিলেন। সে সময় তিনি আহমদ ছফাকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গ্রন্থ লিখিয়েছিলেন, যার নাম ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’। ৭১-এর জুলাই মাসে (শ্রাবণ ১৩৭৮) গ্রন্থটি তিনি প্রকাশ করেছিলেন। ৭১-এর আগস্ট মাসে তিনি প্রকাশ করেছিলেন ‘রক্তাক্ত বাংলা’ নামে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি প্রবন্ধসংকলন, যেখানে প্রবন্ধ লিখেছিলেন রঞ্জন (এ. আর. মল্লিক), ড. আনিসুজ্জামান, আহমদ ছফা, সৈয়দ আলী আহসান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, আসাদ চৌধুরী, অনুপম সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, সত্যেন সেন, জহির রায়হান, মতিলাল পাল, আবদুল হাফিজ, সন্তোষ গুপ্ত, শওকত ওসমান, বুলবুল ওসমান, জাফর সাদেক (অধ্যাপক আবু জাফর), রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা কর্মসূচিও গ্রন্থটিতে লিপিবদ্ধ হয়। ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ও ‘রক্তাক্ত বাংলা’ দ্বিতীয় বই। চিত্তরঞ্জন সাহা গ্রন্থদ্বয়ে প্রকাশনা সংস্থার নাম ব্যবহার করেছেন ‘মুক্তধারা’। এই দুটো গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রচুর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ২০২০-২০২১-এ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশ করেছে ১০ খণ্ডের ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ’। প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজাহান মিয়া। এটি একটি অসাধারণ কাজ। উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ইতিহাসও এতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত বেশির ভাগ বই গবেষণা ও স্মৃতিচারণমূলক। আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বইগুলোর তালিকা করলে তা বিশাল একটি তালিকায় পরিণত হবে।
সাম্প্রতিককালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গ্রন্থ আমার হাতে এসেছে- সাবিনা পারভীন লীনা সম্পাদিত ‘শহিদ কবি মেহেরুননেসা : সূর্যজ্যোতির পাখি’। ১৫২ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি খড়িমাটি থেকে প্রকাশিত হয়েছে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে। কবি ও বুদ্ধিজীবী মেহেরুননেসাকে নিয়ে কবি কাজী রোজী একটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলেন। সাবিনার বইটি তাকে নিয়ে দ্বিতীয় বই। মেহেরুননেসা স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তানি দালাল কসাই কাদের মোল্লা ও তার গংদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত হন। বইটিতে সাবিনার সম্পাদকীয় ও প্রত্যেকের লেখায় এই কথাই বারবার ধ্বনিত হয়েছে। সাবিনা তার সম্পাদকীয়তে দেশের জন্য মেহেরুননেসার বা মেহেরুননেসাদের আত্মদানের ইতিবৃত্ত অন্তর্হিত হওয়ার কথাও ব্যক্ত করেছেন: ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে গণমানুষের যুদ্ধ ছিল, অভিজাতরা ঘটনাক্রমে যুক্ত হয়েছেন কিংবা না হয়ে উপায় ছিল না, বিগত ৫০ বছর এই সত্যটাকে চাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে; তা হয়েছে দেশটাকে এলিটরা শাসন করে এসেছে বলে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণের আনুষ্ঠানিকতার ডামাডোলে মেহেরুননেসারা হারিয়ে গেছে বা হারিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা এই, গণমানুষের মুক্তির আকুতি যতদিন থাকবে, মেহেরুননেসারা কোনো না কোনোভাবে জেগে উঠবেই, তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে- এটাও গণমানুষের মুক্তিযুদ্ধ, অসমাপ্ত যুদ্ধ।’ সাবিনার বইটিতে যারা শহীদ মেহেরুননেসাকে নিয়ে লিখেছেন তারা হলেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সলিমুল্লাহ খান, আলম খোরশেদ, জি এইচ হাবীব, মো. মেহেদী হাসান, ইমতিয়ার শামীম, রুখসানা কাজল, সেলিম আকতার পিয়াল, রেদওয়ান খান, শামসুল আরেফীন, নায়েম লিটু, আতিয়া চৌধুরী, ফাহিমা কানিজ লাভা, ইমরান চৌধুরী ও রিপা মজুমদার। মেহেরুননেসাকে কবিতা নিবেদন করেছেন জ্যোতির্ময় নন্দী, খুকু আহমেদ, ফারহানা আনন্দময়ী ও রওশন রুবী।
মেহেরুননেসা, তার বাবা-মা ও ভাই-বোনেরা দেশভাগের ফলে বাধ্য হয়ে ১৯৫০ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকায় চলে আসেন। মেহেরুননেসা বাংলাদেশকে তার জন্মভূমির মতো ধারণ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। শহীদ হন তার মা ও দুই ভাইও। এ কারণে প্রায় প্রত্যেকের রচনায় মেহেরুননেসার জন্য গভীর মায়া ও গভীর বেদনাবোধ মূর্ত হয়ে উঠেছে। গ্রন্থটিতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ‘মেহেরুননেসা : অকালে নিভে যাওয়া এক শহীদ কবি’ শীর্ষক রচনায় লিখেছেন : ‘আমার দুঃখ হলো, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখানে এসে এ রকম মেধাবী একজন মানুষ শেষ হয়ে গেলেন।’
দুই.
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মেহেরুননেসার আত্মদানের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সংক্ষেপে হলেও বাংলার ইতিহাস জানা দরকার।
গৌড়রাজ শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন স¤্রাট, প্রথম সার্বভৌম বাঙালি রাজা। তার সিংহাসনে আরোহণের সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ৫৯০ অথবা ৬০০ অথবা ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন এমনটি মনে করা হয়। অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মত হচ্ছে, হর্ষবর্ধন ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসন বসেন এবং তার কিছুকাল আগে ৬০০ থেকে ৬০৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শশাঙ্ক গৌড়ের সিংহাসনে আসীন হন।
গুপ্তযুগের শেষদিকে দুর্বল শাসনব্যবস্থার উৎপত্তির ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বঙ্গ রাজ্য ও গৌড় রাজ্য নামে দুটি স্বাধীন রাজ্য তৈরি হয়। বঙ্গ রাজ্য দক্ষিণ পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে। এছাড়া গৌড় রাজ্য পশ্চিম ও উত্তর বাংলা নিয়ে গঠিত হয়। সমাচারদেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্র নামে তখনকার বাংলা রাজ্যের তিনজন স্বাধীন রাজার নাম পাওয়া গেছে, যারা ৫২৫ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সিংহাসনে ছিলেন।
বাংলার প্রথম শক্তিশালী রাজা হলেন শশাঙ্ক। তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চল নিয়ে বিরাট গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই রাজ্যের সীমা প্রসারিত করেন। তিনি পাটালিপুত্র থেকে কর্ণসুবর্ণে বা কানসোনায় রাজধানী স্থানান্তর করেন। তিনি ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের কিছুকাল আগ পর্যন্ত বীরদর্পে বাংলা শাসন করেন বলেন অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। ‘আর্যমঞ্জুশ্রী মূলকল্প’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, শশাঙ্কের তিরোধানের পরে তার পুত্র মানব মাত্র ৮ মাস ৫ দিন বাংলা শাসন করেন। শশাঙ্কের কতিপয় তা¤্রশাসন ও একটি সিল, আফসাড় শিলালিপি, ভাস্কর ভর্মার তা¤্রফলক ‘দুবী’, হিউয়েন সাঙ-এর গ্রন্থ ‘সি-ইউ-কি’ এবং বাণভট্টের লেখা ‘হর্ষচরিত’ অবলম্বনে শশাঙ্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক তথ্য জানা যায়।
শশাঙ্কের তিরোধান ও মানবের শাসনকালের পরে গৌড় রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং গৌড় রাজ্য ভেঙে কয়েকটি রাজ্যে পরিণত হয়। রাজা হর্ষবর্ধনও গৌড়ের অনেকটা অংশ নিজের অধিকারে নিয়ে নেয়। তখন থেকে প্রায় ১০০ বছর বাংলা বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার মধ্যে পড়ে যায়, চরম নেতৃত্বের সংকটে উপনীত হয়। এই সময়টা ইতিহাসে ‘মাৎসন্যায়ের যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের মধ্যবর্তীকালে বাংলার একদল সামন্তগোষ্ঠীপতি গোপালকে রাজা নির্বাচিত করলে বাংলায় পাল আমল ও পাল সা¤্রাজ্যের সূচনা ঘটে। পাল রাজারা প্রায় ৪০০ বছর বাংলাকে শাসন করে। পাল রাজারা হলেন প্রথম গোপাল, ধর্মপাল, দেবপাল, মহেন্দ্রপাল, প্রথম শূরপাল, দ্বিতীয় গোপাল, প্রথম বিগ্রহপাল, নারায়ণপাল, রাজ্যপাল, তৃতীয় গোপাল, দ্বিতীয় বিগ্রহপাল, প্রথম মহীপাল, নয়পাল, তৃতীয় বিগ্রহপাল, দ্বিতীয় মহীপাল, দ্বিতীয় শূরপাল, রামপাল, কুমারপাল, চতুর্থ গোপাল, মদনপাল, গোবিন্দপাল ও পালপাল। পাল সা¤্রাজ্যের পতনের পরে বাংলায় সেন আমলের সূচনা ঘটে। সেন রাজবংশ ত্রয়োদশ শতকের প্রারম্ভ পর্যন্ত ক্ষমতায় আসীন ছিল। এরপর বাংলায় সুলতানী আমলের গোড়াত্তন হয়। পরে আফগান, মোঘল, নবাব ও ইরেজরা এ দেশ শাসন করে। ইংরেজদের শাসনকালের মেয়াদ ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯০ বছর।
বাংলার এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হাজার বছর ধরে বাংলাকে অনেক শাসক (অনেকেই হয়তো স্বাধীন স¤্রাট ছিলেন) শাসন করলেও বাংলার মানুষ কখনো স্বাধীনতা পায়নি, মানুষের মতো বাঁচার অধিকার পায়নি।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটলে বাংলার মানুষ মনে করেছিল, তারা এবার স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পরপর বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা ষড়যন্ত্র কবলিত হলে, এদেশের মানুষ বুঝতে পারল তারা নতুন করে পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে পরাধীন হলো। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের পরাধীন বাঙালির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। ভাষা সংগ্রামে সম্পৃক্ততা, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা ও আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন শুরু করেন, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ১৯৬৬ সালে তিনি ঘোষণা করেন ছয় দফা, যা ছিল বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। এই ছয় দফায় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অবয়ব ফুটে উঠেছিল। পশ্চিম পাকিস্তানিরা এই ছয় দফা মেনে নেয়নি। তারই ফলশ্রæতি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। সুতরাং মেহেরুননেসাও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি কবিতা লিখতেন, গদ্য লিখতেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ভাষায় ‘তিনি বলিষ্ঠ একজন কবি ছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চিন্তার ¯্রােত তার মধ্যে ছিল’। সুতরাং তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের মধ্যে সৃষ্টিশীল মানুষদের অন্যতম প্রতিনিধি। তার আত্মদান, তা মা ও ভাইদের আত্মদান হিমালয়ের চেয়েও বিরাট। সাবিনার বইটিতে ইমতিয়ার শামীম তাঁর ‘মেহেরুননেসার তিমিরবিদারী অভ্যুদয়’ শীর্ষক রচনায় লিখেছেন: ‘মুক্তির মহাকালে অনেক মূল্য দিতে হয়। মেহেরুননেসা আমাদের কাছে অমূল্য-এক প্রাণ হয়ে উঠলেন সেই মুক্তির মহাকালে। যে প্রচণ্ড নৃশংসতা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা থেকেই টের পাওয়া যায়, কত আক্রোশ তার ওপর জমিয়ে রেখেছিল আমাদের জাতীয় মুক্তি-আন্দোলনের বিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তি। মেহেরুননেসা আমাদের পথিকৃত হয়ে উঠেছেন আপসহীন-এক জীবন-সংগ্রামে ব্যাপ্ত হয়ে, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক জীবনযাপনের সংগ্রামে সম্পৃক্ত হয়ে, একটি রাষ্ট্রের মুক্তির লড়াইয়ে যুক্ত হয়ে। তার নিজের হয়তো অমরতার দরকার নেই; কিন্তু এই স্বদেশ ও মহাকালই অমর করে রাখবে তাকে।’
মেহেরুননেসার অমরত্বের পাশাপাশি সাবিনা পারভীন লীনার ‘শহিদ কবি মেহেরুননেসা : সূর্যজ্যোতির পাখি’ তাকে জানার আকর গ্রন্থ হয়ে থাকুক, এই কামনা করি।
(তথ্যঋণ : ১. উইকিপিডিয়ার নিবন্ধ ‘শশাঙ্ক’, ‘পাল সা¤্রাজ্য’ ও ‘সেন রাজবংশ’ ২. বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অনুপম সেন, ফেব্রুয়ারি ২০২৪, তৃতীয় চোখ-চট্টগ্রাম ৩. আহমদ ছফার অন্দরমহল, শামসুল আরেফীন, ফেব্রুয়ারি ২০২০,
বলাকা-চট্টগ্রাম)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়