বিআরটিএ চেয়ারম্যান : টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত

আগের সংবাদ

মুনাফার টার্গেট ইফতার পণ্য

পরের সংবাদ

ইন্ডিয়ান স্পিচ

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনুবাদ : শাহাজাদা বসুনিয়া
মূল : জন মর্লি

ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস
[১৯০৮ সালের জুলাই মাসে জন মর্লি এই ভাষণটি লন্ডনে উপস্থাপন করেন]

ভদ্রমহোদয়গণ, আমি প্রথমেই আপনাদের ধন্যবাদ জানাই যে আমি যা বুঝতে পেরেছি, এখানে অতিথি হওয়ার জন্য আপনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সত্যিই তা একটি বিরল সম্মান, এটি নিশ্চিতভাবে একটি সম্মান। ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের উপস্থিতিতে একজন সেক্রেটারি অব স্টেটের অবস্থান সম্পূর্ণ সহজ নয়। আপনারা, ভদ্রমহোদয়গণ, যারা এখনো পরিষেবায় রয়েছেন এবং আমার চারপাশে যে প্রবীণদের আমি দেখছি, যারা সেই মহান পরিষেবায় ছিলেন, স্বাধীনভাবে এবং সঠিকভাবে সবার আগে এবং সম্পূর্ণভাবে ভারতের দিকে নজর রাখেন। একজন সেক্রেটারি অব স্টেটকে পার্লামেন্ট ও গ্রেট ব্রিটেনের দিকেও নজর দিতে হবে এবং এটি সবসময় সামঞ্জস্য করা পুরোপুরি সহজ পরিস্থিতি নয়। আমি ভুলে যাই যে ভারতের শাসকদের সম্পর্কে কে বলেছিলেন- ‘একজন মানুষের পক্ষে একই সঙ্গে দুটি দ্রাঘিমাংশে তার ঘড়ি রাখা সহজ ব্যাপার নয়।’ এটি সেক্রেটারি অব স্টেটের ঘটনা। সেক্রেটারি অব স্টেটের একচেটিয়াভাবে ভারতের দিকে তাকানো কাজ নয়, যদিও আমি স্বীকার করছি যে, অল্প কিছুদিন আগে আমি বর্তমান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছি, আমি ক্রমাগত, দৃঢ়ভাবে ভারতের ওপর নজর রেখেছি এবং প্রতিটি পরিস্থিতি ওপর পুরো সত্যটি ইচ্ছা নিয়ে বুঝার জন্য চেষ্টা করছি।
সেক্রেটারি অব স্টেটের দুটি বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই মনে মনে পুঙ্খানুপুঙ্খ উপলব্ধি থাকতে হবে। প্রথমত, ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং দ্বিতীয়ত, আমার দৃষ্টিভঙ্গি, যা আপনাদের মতো প্রভুদের কাছে প্রদর্শিত হয়। ভুলে যাবেন না যে সমন্বয় করতে হবে। সিভিল সার্ভিসকে প্রশংসা করা আমার পক্ষে অসঙ্গত হবে, তাদের আমি উদযাপন করি- ‘তারা হচ্ছেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের স্বাস্থ্য।’ আপনারা এক মুহূর্তের জন্য বোধ হয় ভাবতে পারেন যে, বিশেষজ্ঞদের কাছে সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের প্রস্তাব করা একটি শৌখিন ব্যাপার। আমার সময়গুলোতে আমি এক ধরনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভালো চুক্তি করেছি, আবার অন্য ধরনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে চুক্তি করেছি, আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে, একজন অকপট মনস্ক বিশেষজ্ঞ, যিনি যুক্ত সঙ্গতভাবে প্রশিক্ষিত হন, তিনি মোটেও খারাপ হন না।
এখন, এই বছরটি একটি স্মরণীয় বার্ষিকী। এক বা দুই মাসের মধ্যে ৫০ বছর পূর্তি হবে। ওল্ড ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ক্রাউন যখন ভারত সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এটি একটি ভালো পদক্ষেপ ছিল, না খারাপ পদক্ষেপ ছিল, এটি আমার আলোচনার বিষয় নয়। পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। একটি কণ্ঠস্বর, ‘এটি একটি ভালো পদক্ষেপ ছিল।’ আমার একজন প্রবীণ বন্ধু বলেছেন যে, এটি একটি ভালো পদক্ষেপ ছিল। আমিও এ রকম আশা করছি। তবে ৫০ বছরের শেষে আমরা বরং একটি জটিল মুহূর্তে রয়েছি। আমি সেদিন ‘দ্য টাইম’ পত্রিকা পড়ছিলাম, যেখানে লেখা হয়েছিল যে, বর্তমান ভাইসরয় এবং সেক্রেটারি অব স্টেট যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে, ইতোপূর্বে ব্রিটিশ সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেনি। এখন এই টেবিলে আমার চারপাশে অনেকেই বসে আছেন, আমি যা বলছি তার চেয়ে অনেক ভালোভাবে ওই বিবৃতিটির গুরুত্ব আপনারা বুঝতে সক্ষম। এটা কি সত্য যে, মুকুট স্থানান্তরের ৫০ বছরের শেষে, ভারতে ব্রিটিশদের মতো শর্তগুলো মোকাবিলা করতে হবে যা আগে কখনো মুখোমুখি হতে হয়নি? (হ্যাঁ)। আমি তা পরিমাপ করার দায়িত্ব নিতে পারি না, কিন্তু যা পরিষ্কার তা হলো সিদ্ধান্ত নেয়া ভারী মেঘ, হঠাৎ আমাদের দিগন্তে ভেসে উঠেছে এবং অন্ধকারে আমাদের ভারতীয় আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। এটা স্বীকার করা যায় না। কিন্তু ভদ্রমহোদয়গণ, একজন ব্যক্তি, যিনি অফিসে সর্বাধিক মনোযোগ দিতে পারেন, সমস্ত কাগজপত্রের সঙ্গে যিনি জড়িত এবং যিনি সকল পর্যবেক্ষক দেখতে সক্ষম, আমি এক মুহূর্তের জন্যও অনুভব করি না যে, একটি গোপন সমাজে বা একটি গোপন সংস্থায় হঠাৎ করে আবিষ্কৃত ভূমিকম্পের সঙ্গে তিনি জড়িত। যখন আকাশে মেঘগুলো ভাসতে থাকে, তখন আমি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে পছন্দ করি। আমি আপনাদের বলছি না যে, আপনারা এক ধরনের এবং অন্য ধরনের বেশি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। হ্যাঁ, সঠিক দিকে শক্তিশালী ব্যবস্থা এবং সঠিক যোগ্যতাসহ পদক্ষেপ নিতে পারবেন। আমি মনে করি যে, কোনো ব্যক্তি যদি বলে সব ঠিক আছে, আবার কোনো ব্যক্তি যদি বলে সব কিছুই ভুল, দুজনের যে কোনো একজন সম্ভবত ভুল ব্যক্তি। এখন এই ঘরটি পূর্ণ এবং সাধারণভাবে পরিপূর্ণ, যাদের বিশাল অভিজ্ঞতা, যারা বিশাল ও বিস্তৃত অভিজ্ঞতায় ভূষিত এবং যাদের ইতিবাচক ধারণা রয়েছে, তাদের এই দুর্দান্ত সক্রিয় অভিজ্ঞতা হচ্ছে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা। এই ঘরটি যোগ্যতাপূর্ণ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিপূর্ণ এবং আমি বলতে উদ্যোগী হব যে, আপনারা যে সত্য বলতে তত্ত্ব ও ব্যাখ্যা দেবেন, এতে পার্থক্য পরিলক্ষিত হবে। আমি সারাদিন ধরে বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা শুনি। তাদের ব্যাখ্যাগুলো শুনতে আমি পছন্দ করি। আপনারা মনে করতে পারেন যে, এটি একঘেয়ে বিষয়। না মোটেই না, কারণ অনেক কিছু আছে, আমি এলোমেলো বৈচিত্র্যের কথা বলব না, ওই তথ্যগুলোকে নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ রয়েছে। তথ্যগুলো আমি অফুরন্ত সম্পাদনা ও নির্দেশনায় শুনি। কিন্তু আমি মনে করি এবং আশা করি যে, আমি আমার হƒদয়ের ছোঁয়া দিয়ে ওই পরিস্থিতিগুলোর ব্যাপারে তত্ত্ব এবং ব্যাখ্যা সংক্ষিপ্ত আকারে বলতে গেলে, আপনাদের খুব কমই বেদনাদায়ক একটি প্রতিরোধ অনুভূতি জন্মাবে যে, এখন কিছু অংশে একটি নির্দিষ্ট বিচ্ছিন্নতা এবং জাতিতে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। (না, না) ভদ্রমহোদয়গণ, ধৈর্য ধরে আমার কথাগুলো শুনুন। এশিয়াটিক প্রশ্নে, এটি আমাদের অংশ।

একটি কঠিন সমস্যা
আমি সবচেয়ে কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে আমার পথ অনুভব করার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি যা একজন দায়িত্বশীল সরকারকে মুখোমুখি করতে পারে। অবশ্যই, আমি তথ্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু যখন আমি এটি পড়ছি, যখন আমার বিশাল অভিজ্ঞতার আলোকে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের কথা শুনি, যা বিচ্ছিন্নতার শব্দে ঝংকৃত, যদিও তা বিচ্ছিন্নতা কথাটি শুনতে তেমন খারাপ লাগে না। এখন এই সমস্যাটি আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। ভদ্রমহোদয়, আমি যদি এক মিনিটের জন্য বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি, বা সমস্ত শর্ত প্রমাণ করার চেষ্টা করি- কেন আমরা এই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি, ওগুলো বলতে আমার বহু দিন ও রাত লাগবে। আমি মনে করি, এই অনুষ্ঠান এবং এই মুহূর্তটি সেগুলো বলার জন্য উপযুক্ত নয়। আমাদের প্রথম কর্তব্য- যে কোনো সরকারের প্রথম কর্তব্য শৃঙ্খলা বজায় রাখা। কিন্তু এটি মনে রাখবেন, এটা অস্বীকার করা ঠিক হবে না, আমি নিশ্চিত নই যে, এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা এটি অস্বীকার করবেন যে, এই মুহূর্তে অথবা অল্প কিছু দিন আগে এবং খুব সম্ভবত আগামী কিছু সময়ের মধ্যে জনগণের মনে একটি জীবন্ত আন্দোলন থাকবে, যার জন্য আপনারা দায়ী। একটি জীবন্ত আন্দোলন এবং কিসের জন্য এই আন্দোলন? কিছু বিষয়ের জন্য একটি আন্দোলন যা প্রাপ্তির জন্য তাদের আকাক্সক্ষাকে আমরাই জাগ্রত করেছি এবং যদি আমরা কোনো না কোনোভাবে সেই ধারণা এবং আকাক্সক্ষাগুলো সন্তুষ্টি ও শৃঙ্খলার সমন্বয় করতে না পারি, ভদ্রমহোদয়- দোষটি তাদের হবে না। এটা আমাদের হবে। বিশ্বের কোনো অংশে এখনো ভাঙন দেখা যায়নি, ব্রিটিশ রাষ্ট্রনীতিতে এখনো কোনো ভাঙন চিহ্নিত হয়নি। এখানে তাই হবে। এখন আমি কাউকে বিশ্বাস করি না, হয় এই ঘরে অথবা এই ঘরের বাইরে, আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা এখন বিশুদ্ধ দমনের যুগে প্রবেশ করতে পারি। এই মুহূর্তে আমরা প্রবেশ করতে পারি না এবং ইংরেজদের জনমত ও মন-মানসিকতা বিশুদ্ধ দমনের যুগে প্রবেশ করতে পারে না এবং আমি সত্যিই বিশ্বাস করি না যে, যে কেউ এই জাতীয় কোনো জিনিস প্রত্যাশা করে, এটি আমি বিশ্বাস করি না। ভদ্রমহোদয়গণ, এখন পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কয়েকজনের জীবদ্দশায়, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে বিশুদ্ধ দমন-পীড়ন করে শাসন করা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের মধ্যে একজন কি সত্যিই সফল হয়েছে? তারা সবাই ব্যর্থ হয়েছে। সাফল্যের একটি নকল আভাস বারবার থাকতে পারে, কিন্তু সত্য অর্জনে তারা সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের বিশাল ক্ষমতা এবং সংকল্প নিয়ে আমরা ব্যর্থ হব কিনা, আমি জানি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না যে, এই হাউসের কেউ এত শক্তিশালী আছেন যিনি প্রতিনিধিত্ব করবেন যেমন, আপনাদের যেভাবে যে প্রবল অনুভূতি রয়েছে, যা সব সময় ইংল্যান্ডে অনুভূত হয় না- এখানে এমন কেউ আছেন যে, বিশুদ্ধ দমন যুগে প্রবেশ করতে চান। ভদ্রমহোদয়গণ, আপনারা যদি বিরক্ত না হন, তবে আমি এক মুহূর্তের জন্য বিচ্যুত হব (চালিয়ে যান)। প্রায় ৫০ বছর আগে ভারত সরকারের পুরনো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ক্রাউনে স্থানান্তরের প্রায় একই সময়ে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, যা আমি প্রায়ই ভেবেছি যে, ভারত সরকারের সঙ্গে আমি উদ্বিগ্ন হওয়ার পর থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ক্রাউন স্থানান্তরের চেয়েও বেশি গভীর। আমরা কী ভাবি, এটি কী ছিল? এটা ছিল প্রথম প্রতিষ্ঠান- বিশ্ববিদ্যালয়, আমার সময়টিই সঠিক ছিল। আমরা এই দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনকে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখতে এতটাই অভ্যস্ত যে, আমরা প্রায়শই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মতো পরিবর্তন ভুলে যাই। আর আপনাদের মধ্যে কেউ যদি ভবিষ্যদ্বাণী করার দিকে ঝুঁকে পড়েন, তাহলে আমি আপনাদের কাছ থেকে এমন কিছু জানতে চাই যে, সেই মহান এবং বিখ্যাত ব্যক্তি লর্ড ম্যাকলে ১৮৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কথা চিন্তা করার আগে তিনি লিখেছিলেন, তিনি কী বলেছিলেন? এটি কি সতর্কবার্তা, ভদ্রমহোদয়গণ। তিনি লিখেছিলেন, কেবল একটি শহর-হুগলিতে ১,৪০০ ছেলে ইংরেজি শিখছে। এই শিক্ষার প্রভাব হিন্দুদের ওপর অসাধারণ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমাদের পরিকল্পনা এই শিক্ষা অনুসরণ করলে ৩০ বছর পর বাংলাতে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীও পাওয়া যাবে না। তার তা কেবল জ্ঞান ও প্রতিফলনের স্বাভাবিক কার্যকলাপের দ্বারা প্রভাবিত হবে। আহা! ভদ্রমহোদয়গণ, জ্ঞান ও প্রতিফলনের প্রাকৃতিক ক্রিয়া মানুষের মনের ভেতর একটি ভিন্ন কাঠামো, বিভিন্ন বিশ্বাস, বিভিন্ন অভ্যাস, জীবনের রীতিনীতি তৈরি করে, এটি তাদের মধ্যে অনুভূতি তৈরি করে এবং অপ্রত্যাশিত পথে নিয়ে যায়। এই বিতর্কমূলক কথাগুলো শুনিয়ে আজ রাতটি নষ্ট করতে চাচ্ছি না। কিন্তু যখন আমরা শিক্ষার কথা বলব, তখন কি আমরা সমস্যাটির গভীরে যাচ্ছি না? এখন থেকে রাত পর্যন্ত আমরা রসিকতা করছি না- আমি নিশ্চিত যে, আপনিও রসিকতা করছেন না, আমি অবশ্যই এই দর্শনের পক্ষে নই। এতে কেউ খুশি। আমি আপনাদের বলব আমি কী মনে করি- আমি বিগত কয়েক মাস ধরে সেখানে সময় অতিবাহিত করছি- আমি প্রথমে কলকাতা এবং সিমলায় বসবাসরত লোকদের, ক্ষমতা এবং শ্রমের অন্য প্রধান কেন্দ্রগুলোকে শাসকদের ওপর দায়িত্বের বোঝা মনে করি। আমরা ভারতে এবং ইংল্যান্ডেও যারা আছি, যাদের আত্মীয় প্রত্যন্ত স্থানে এমন পরিস্থিতি নিয়ে অবস্থান করছেন, যারা আমাদের খুব পরিচিত, তাদের নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন আছি। আমি স্ব-কমান্ডের প্রতি, আতঙ্কের মতো কিছু থেকে মুক্তির জন্য, যা এখনো পর্যন্ত কলকাতা এবং অন্যান্য কিছু জায়গার ইউরোপীয় জনসংখ্যার মনোভাবকে চিহ্নিত করেছি এবং আমি স্বীকার করছি যে, আমি নিজেকে বলেছি যে, যদি তারা এখানে, লন্ডনে, রেলগাড়িতে বোমা, প্রধানমন্ত্রীর সভা মঞ্চের নিচে বোমা খুঁজে পেত, তাহলে সেই খবর প্রচণ্ড ভীতির শিরোনাম হিসেবে প্রকাশিত হতো এবং উত্তেজনা ও আতঙ্কের অন্য সমস্ত সংবাদ প্রচারিত হওয়া উচিত ছিল। যতদূর আমাকে জানানো হয়েছে, যদিও কলকাতায় গুরুতর- গুরুতর অনুভূতিটি, কীভাবে এটি অন্যকিছু হতে পারে? তারা মহৎ এবং বড় পদমর্যাদাশীল ব্যক্তি ও শ্রেণিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন, সবকিছুকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার কথা অনুশীলন করছেন। এখন সরকার, সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথা বলার জন্য আমাকে কিছু সময় দেন, শুধু এখানে নয়, সিমলায় তারা এবং আমরা, সর্বোপরি আমরা একসাহসের একটি নির্দিষ্ট অভাবের জন্য আক্রমণ করা হয়েছে, যাকে প্রায়শই আমরা ভুল পদক্ষেপ বলি ও দৈহিক শক্তি বলা হয়। সেদিন আমাদের বলা হয়েছিল, ওগুলো আমাদের মূলনীতি। ক্ষণিকের জন্য সরকারি সাহসের ঝলকানি ছিল। যখন ভারত সরকার এবং আমরা এখানে দুজনকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম, তারা অভিযোগ উত্থাপন করলেন যে, তাদের অভিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। ঠিক আছে, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেয়া হয়নি, তবে ছয় বা আট মাস পরে, তাদের কত মাস নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তা ভুলে যাই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো চার্জ গঠন করা হয়নি, তাদের কোনো বিচার করা হয়নি অথবা তাদের কোনো বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। কতদিন আমরা তাদের সেখানে রাখতে পারি? একদিন রাখতে পারি, না তাদের এক ঘণ্টাও রাখতে পারি না। নির্দিষ্ট এবং নির্দিষ্ট অপরাধ চিহ্নিত করার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হ্রাস পেয়েছিল। নির্দিষ্ট অপরাধ মনে রাখতে হবে। আজ রাতে এটি নিয়ে আমি তর্ক-বিতর্ক করব না, অন্যদিন অবশ্যই আমি একটি বিষয় তুলে ধরব। আমি কেবল একটি কথা বলব, ১৮১৮ সালে একটি প্রণীত পুরনো আইনের বলে এটা কী করা ঠিক হবে? মাথামোটা লোকদের বিবৃত কল্পনায় তৈরি আইন আমাদের ওপর চাপিয়ে দিলে আইনবিরুদ্ধ এবং অপরাধমূলক প্রতিশোধকে উসকে দেয়া নয় কি? (হ্যাঁ) আপনারা হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবেন না, আমাকে একজন অতিথি হিসেবে বিষয়টি বলতে দেন, যদিও আপনারা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন না। (চালিয়ে যান) সর্বোপরি, আমরা একে অপরকে বলতে পারি- আমরা একই ভাষায় কথা বলি এবং আমি আপনাদের বলি যে, এই ধরনের একটি প্রক্রিয়া, অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক, এমন একটি বিষয় যা এই দেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। (অবশ্যই বিশৃঙ্খলা) হ্যাঁ, যদি সেখানে ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলতা ও আটকানো পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় থাকত। অবশ্যই, বিশৃঙ্খলা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কারাবাসের জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত সহনীয় হতো।
গত সোমবার, যাকে প্রেস অ্যাক্ট বলা হয়, ভারত সরকার একটি বিস্ফোরক সম্পর্কিত বিধি-নিয়ম পাস করেছে, আমি মনে করি, কুড়ি বছর আগে ওই আইনটি পাস করা উচিত ছিল। প্রেস আইনের উদ্দেশ্য কী? আমি প্রযুক্তিগত ভাষার কথা বলার চেষ্টা করছি না; স্থানীয় সরকার দেখতে পান যে, কোনো সংবাদপত্রে ছাপানো ফিচার থেকে বিশৃঙ্খলা ও হত্যাযজ্ঞ ঘটার মতো কোনো প্ররোচনা থাকে অথবা কেউ বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশ্রয় নেয়, হত্যাযজ্ঞ বা সহিংস্রতা তৈরির পরিবেশ তৈরি করে, তাহলে স্থানীয় সরকার পত্রিকাটি মুদ্রণ করার অনুমতি বাতিল করতে পারবে, সেখানে স্থানীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট মর্যাদার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেসটি দখলের আদেশ জারির জন্য আবেদন করতে পারে। যদি প্রেসের মালিক প্রেস বন্ধের জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তবে তিনি ১৫ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে প্রেসটি খুলে দেয়ার জন্য মামলা করতে পারবেন এবং প্রেস পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন। এটি ভারতে পাস হওয়া আইনের একটি বিবৃতি, এটকে আমরা সমর্থন করব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে কিছু কথাবার্তা উচ্চারিত হয়। কিছু ব্যক্তি বলেন, ‘আহ! এটি দেরি হলো।’ অন্য কিছু ব্যক্তি বলেন, অহ! এটি এত তাড়াতাড়ি হলো কেন?’ আমি প্রথমেই আপনাদের এবং পরে অন্য যে কোনো শ্রোতাকে বলব যে, এই আইন পাসের জন্য আমি কোনো ক্ষমা চাইব না এবং পূর্বে এই আইন পাস না করার জন্যও আমি ক্ষমা প্রার্থনা করব না। আমি সংক্ষিপ্ত কাটছাঁটে বিশ্বাস করি না এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে খুব বেশি তাড়াহুড়ো না করা সরকারের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। সাধারণ বিচার প্রক্রিয়া কী হবে, সে সম্পর্কে নির্বাহী পদক্ষেপ চালুকরণের জন্য আমি কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করব না। অন্যদিকে বিচারিক উপাদানগুলোর সঙ্গে নির্বাহী পদক্ষেপ নেয়ার জন্যও আমি কোনো ক্ষমা চাইছি না, আমি বলতে পেরে খুব আনন্দিত যে, গতকাল রাতে একটি সান্ধ্যকালীন সংবাদপত্র যা রাজনৈতিকভাবে সম্পর্কিত নয়, পত্রিকাটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, পত্রিকা আমার অধিকারার্থে আছে। এতে বলা হয়েছে যে, আপনাকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে, আপনি আপনার আধা-নির্বাহী অথবা বিচারিক পদক্ষেপ উচ্চ আদালতে তুলে ধরতে ভয় পান না। এই আইন সরকারি পদক্ষেপের কোনো সমালোচনা ছাড়াই হস্তক্ষেপ করে, যতই শক্তিশালী হোক না কেন। এটি কোনো ব্যবহারিক নীতি, সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সমর্থনকে নিরুৎসাহিত করে। তবুও আমি দুঃখিত এবং বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছি যে, দেশদ্রোহীদের বিচারের জন্য এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে জুরি ছাড়াই। কেউ কেউ এটি নিয়ে যুক্তি দেখান এবং সম্মানের সঙ্গে বলছি যে, এই আইন পাস করার আগে ইম্পেরিয়াল পার্লামেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। এখনো পরামর্শ করা উচিত। (না, না) আমার প্রবীণ বন্ধুরা পারিবারিক ভোটাধিকারের দিনগুলোর আগে বাস করতেন। ঠিক আছে, বলা হয় যে, সংসদের কণ্ঠস্বর এত গুরুতরভাবে শোনা উচিত যে, এটি একটি বিষয়। কিন্তু প্রস্তাবগুলোর নীতিমালা পুরোপুরি বিবেচনা করা হয়েছিল, যেমনটি বেশ সঠিক ছিল, কেবল কাউন্সিলে সেক্রেটারি অব স্টেট শুধু নয়, বরং কেবিনেটও এটিকে সঠিকভাবে আখ্যা দিয়েছিল। জনগণের জন্য প্রস্তাবগুলো জরুরি ছিল, তাৎক্ষণিকতার বিষয় ছিল। আমি এর পাশে আছি। কিন্তু এটা জিজ্ঞাসা করা পুরোপুরি স্বাভাবিক, ইম্পেরিয়াল পার্লামেন্টের কি কোনো কণ্ঠস্বর থাকা উচিত নয়? আমি ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছি যে, এই আইনের আওতায় ভারত সরকারকে সমস্ত কার্যক্রম সেক্রেটারি অব স্টেটকে রিপোর্ট করতে হবে। আমি যতদিন সেক্রেটারি অব স্টেট পদে আসীন থাকব, ততদিন কিছুটা কঠোর এই আইনের অধীনে গৃহীত কার্যক্রমের প্রতিবেদন সময়ে সময়ে সংসদে উপস্থাপন করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। যখন আমাকে বলা হয় যে, এ ধরনের একটি আইন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ, আমি এক মুহূর্তের জন্য এটি মেনে নেব না। আমি বিশ্বাস করি না, ইংল্যান্ডে এমন একজন ব্যক্তি আছেন যিনি আমার চেয়ে আমার প্রেসের স্বাধীনতায় বেশি ঈর্ষান্বিত। কিন্তু দেখা যাক আমরা কি বলতে চাইছি। এটি বলা হয় যে, ‘ওহ! এই জ¦লন্ত নিবন্ধগুলো- কারণ এগুলো জ¦লন্ত এবং হত্যাকারী- ‘কেবল ফেনা।’ হ্যাঁ, তারা ফেনা, তারা রক্তপাতের দাগযুক্ত ফেনা। যখন আপনাদের কাছে কোনো ব্যক্তি স্বীকার করে যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই নিবন্ধগুলো লেখেন। এই সংবাদপত্রগুলো হত্যাকারী পদক্ষেপকে উস্কানি দেয়ার জন্য নিবন্ধগুলো প্রচার করে থাকেন, প্রেসের স্বাধীনতার কথা বলতে বুঝানো হয়- শশীপ্রভা, ফাঁকিবাজি কথা। আমরা একটি রেডিকেল হাউস অব কমন্স পেয়েছি। অনেক কিছু আপনাদের জন্য ভালো। আমি যদি এখনো হাউস অব কমন্সের সদস্য হতাম, তাহলে আমার এক মুহূর্তের জন্যও হাউসে যেতে আপত্তি করা উচিত নয়- আমি নিশ্চিত যে, আমার সহকর্মীরা কিছু মনে করবেন না এটা বলতে যে, সংশ্লিষ্টদের উস্কানি দেয়ার জন্য এই নিবন্ধগুলো প্রচার করা হয়েছে। স্পষ্টভাবে হত্যাকারী পদক্ষেপ প্রচারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যখন আপনি একটি সত্য হিসেবে পদক্ষেপটিকে বিবেচনা করবেন, হত্যাকারী পদক্ষেপ মুদ্রিত হয়েছে যা হচ্ছে শশীপ্রভা, ফাঁকা কথা। এটি বীরত্বপূর্ণ কাজ নয়, তারা চায় না। কিন্তু এ ধরনের জ¦লন্ত নিবন্ধগুলো খুনিকে প্ররোচনায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঠিক যে কোনো ইস্পাত বোমার মতোই আপনি কালি ও কলমে পিওরিক এসিড রাখতে পারেন।
আমি এখানে একটি বা দুটি সংক্ষিপ্ত কথা দিয়ে বিরক্ত করব না, কিন্তু যখন আমাকে বলা হয়, ভালো সরকারের অনেকগুলোর মধ্যে এটি একটি উদ্দেশ্য, এটি স্বীকৃতি দেয়া উচিত। অবশ্যই পাবলিক সমালোচনা-আলোচনাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। আমি নিবন্ধের বাক্যগুলো যথাযথভাবে পড়েছি এবং তারপর ভারত থেকে প্রেরিত টেলিগ্রাফে পাঠানো বিষয়গুলোর দিকে ফিরে আসি- এটি হচ্ছে ভারত স্বাধীনতার জন্য একটি গোপন বিদ্রোহের সুর। এই ধরনের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কিত জনসাধারণের আলোচনার কথা বলা সত্যিই হবে ঠেলে দেয়ার মতো, অসহনীয়ভাবে দূরে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের।
আমি এগুলো বিশ্বাস করতে তাড়াহুড়া করব না যে, ভারতে যুক্তিসঙ্গত লোকদের একটি মহান প্ল্যাটফর্ম নেই; কেবল শান্ত, নম্র, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং শিক্ষিত শ্রেণিও আছে। তারা নিজেদের কীভাবে, সেটি আমার বিবেচ্য বিষয় নয়, বা তারা কি ধরনের সংগঠন তৈরি করতে পারেন তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করার জন্য তাড়াহুড়া করব না যে এমন কোনো ব্যক্তি নেই এবং আমরা কখনই তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি না। যখন আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, ভারত আমাদের পাশে সংগঠিত যুক্তিসঙ্গত মানুষের কোনো সংগঠন নেই- ভদ্রমহোদয়গণ, যখন আপনারা বলেন, দেশটিকে আপনারা চেনেন, তখন আমি এটা বলব, যেদিন আমরা বিশ্বাস করব, সেদিন আমরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল এবং বিশাল রাজ্যগুলোর শাসকদের মতো বিশ্রি, বিব্রতকর এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, যদি সংকট আসে, তবে তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি পথ খুঁজে নিতে হবে, তবে আসুন, আমরা আমাদের মনকে আগে থেকে পরিষ্কার রাখি। অনেক অন্ধকার এবং কুৎসিত মুহূর্ত এসেছে- আমার চারপাশের ভদ্রলোকদের দেখুন, যারা ইতোপূর্বে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অন্ধকার ও কুৎসিত চেহারা পরিভ্রমণ করেছেন। আমাদের সামনে এখন একটি মেঘলা মুহূর্ত বিরাজমান। আমরা এর মধ্য দিয়ে হাঁটছি। কিন্তু শুধু স্ব-আদেশ দিয়ে এবং কোনো হাতুড়েগিরি বা ক্যান্ট ছাড়াই, অন্ধ সহিংস্রতার ক্ষেত্রে এটি অভিনয় হোক, নাকি শৃঙ্খলার জন্য ছদ্মবেশী হোক বা অসঙ্গত এবং ভুল অনুভূতি থেকে হোক, অথবা জ্ঞানবহির্ভূত এবং তথ্যের কোনো শীতল বিবেচনা দ্বারা অস্পৃশ্য।

[জন মর্লি হাউস অব কমন্সের সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের স্টেট অব সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতে অবস্থানকালে তিনি ইন্ডিয়ান স্পিচগুলো বিভিন্ন ফোরামে বক্তৃতা আকারে উপস্থাপন করেন। প্রায় সমগ্র উনবিংশ শতাব্দীর পাক-ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনের একটি চিত্র তার ইন্ডিয়ান স্পিচে বেরিয়ে এসেছে। ইন্ডিয়ান স্পিচে জন মর্লির গভীর সমালোচনার অন্তদৃষ্টি সুসঙ্গতভাবে সাহিত্যের মূল্যবোধ এবং যুক্তিযুক্ত অনুপ্রেরণার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের অবস্থান রয়েছে। তার রচিত ইন্ডিয়ান স্পিচ সাহিত্যরসে ভরপুর। রাজনীতি, রাষ্ট্রনায়কত্ব, সাংবাদিকতা এবং সাহিত্যের মতো ক্ষেত্রে জড়িত থাকার কারণে, জন মর্লি মানুষের মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান সংগ্রহের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। সাহিত্যের মানুষ হিসেবে নাম ও খ্যাতির পাশাপাশি জীবনীকার হিসেবেও জন মর্লি কাজ করেছেন। তিনি একজন ব্রিটিশ লিবারেল স্টেটম্যান এবং সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। তিনি সতেরো বছর ধরে পাক্ষিক পর্যালোচনা সম্পাদনা করেন; তিনি ‘পলমল’ গেজেট এবং ‘ম্যাকমিলান’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়