নির্বাচনী ফলাফল কোথাও কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিল : সংসদে জি এম কাদের

আগের সংবাদ

দ্রুত কার্যকরে মিলবে সুফল

পরের সংবাদ

জোর করে পর্যটকদের নামানো হচ্ছে যুদ্ধে!

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের একদল যুবক সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। ভারত সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তারা বলেন- রাশিয়ায় বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে তারা দ্বারস্থ হয়েছেন মোদি সরকারের। ১০৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওই সাত পাঞ্জাবি। তাদের পরনে সেনার জ্যাকেট ও হুড এবং সঙ্গে স্কাল ক্যাপ। একটি ছোট্ট নোংরা ঘরের ভেতরে তারা দাঁড়িয়ে। ঘরের একপ্রান্তে একটি মাত্র জানালা। তাদের মধ্যে ৬ জন ঘরের এক কোণে বসে ছিল। সপ্তম জন হরিয়ানার কারনালের ১৯ বছর বয়সি হর্ষ- তাদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এবং সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করেছেন। নিজেদের পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে হর্ষ বলেন- গত ২৭ ডিসেম্বর তারা রাশিয়ায় আসেন। তাদের ভিসা ছিল ৯০ দিনের। সেখান থেকে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাদের এজেন্ট চম্পট দিলে তারা অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েন। অভিযোগ, পুলিশ ওই পর্যটকদের গ্রেপ্তার করে জোর করে নথিতে সই করতে বাধ্য করে। হর্ষের কথায়, এখন ওরা (রাশিয়া) আমাদের বাধ্য করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে।
হর্ষের পরিবার এনডিটিভিকে বলেছে যে, তাদের ছেলে বিদেশে চাকরি করতে চেয়েছিল এবং তাকে বলা হয়েছিল যে, রাশিয়ায় কাজ হয়ে গেলে তার পছন্দের দেশে অভিবাসন করা সহজ হবে। হর্ষের মা দাবি করেছেন, আমার ছেলে ২৩ ডিসেম্বর বিদেশে গিয়েছিল। সে কাজের সন্ধানে গিয়েছিল এবং রাশিয়ায় তার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। রাশিয়ান সৈন্যরা তাদের ধরে ১০ বছরের জেলের হুমকি দিয়েছিল এবং সেনাবাহিনীতে তাদের জোর করে নিয়োগ দেয়া হয়। আমার ছেলেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। ‘মোদি সরকারের কাছে তার কাতর আর্জি যাতে তার ছেলেকে রাশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। গুরপ্রীতের ভাই অমৃত সিং এনডিটিভিকে বলেন, ওই ব্যক্তিদের সামরিক চাকরিতে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়