রাজধানীতে বাইক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

আগের সংবাদ

‘কোটা’ নিয়ে কূটকৌশল

পরের সংবাদ

এআই ডাটা সেন্টার নির্মাণে বিধিনিষেধ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তথ্য সংরক্ষণে প্রযুক্তি জায়ান্ট থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির উন্নয়ন ডাটা সেন্টারের সক্ষমতার সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহারও বাড়িয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বৈশ্বিক উদ্যোগের জন্য ক্ষতিকর। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই নির্ভর ডাটা সেন্টার নির্মাণে বিধিনিষেধ আরোপ করছে-
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে টেকটাইমসের খবরে বলা হয়, পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে চীন, সিঙ্গাপুর ও আয়ারল্যান্ড এআইনির্ভর নতুন ডাটা সেন্টার স্থাপনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানির অধীনে থাকা সার্ভার ফার্মগুলোর জন্য আয়ারল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। নি¤œ কর হারের পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারনেট ট্রাফিকে যুক্ত হওয়ার সুবিধা রয়েছে এখানে। ভ্যানটেজ, এজকনেক্স ও ইকুইনিক্সের মতো ডাটা সেন্টার কোম্পানিগুলো ডাবলিনে নতুন প্রকল্প শুরু করতে চেয়েছিল। কিন্তু গত বছর সেটি বাতিল হয়ে যায়। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ড সরকার জাতীয় গ্রিডে নতুন কোনো সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কোম্পানিগুলোর প্রকল্প চালুর আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়। জার্মানি, লাউডাউন কাউন্টি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া একইভাবে আবাসিক এলাকার কাছাকাছি ডাটা সেন্টার স্থাপন বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নেয়। এছাড়া গ্রিডে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ও সেখানে উৎপাদিত বর্জ্য রিসাইকেল করার কথাও জানানো হয়। স¤প্রতি একটি আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা গবেষণার পর জানায়, ডাটা সেন্টারগুলোয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এআইয়ের সম্পৃক্ততার কারণে ২০২৬ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্বিগুণ বাড়বে। এর পরই ডাটা সেন্টার নির্মাণ বন্ধের এ উদ্যোগ প্রকাশ্যে এল। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) বার্ষিক ইলেকট্রিসিটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ডাটা সেন্টার, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এআই একত্রে ৪৬০ টেরাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ ব্যয় করেছে, যা বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২ শতাংশ। ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এআইসহ ডাটা সেন্টারগুলোয় বিদ্যুতের ব্যবহার ১ হাজার ৫০ টেরাওয়াট আওয়ার ছাড়াতে পারে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি কত দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে সেটি গুরুত্ব পাবে। দ্য ভার্জ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ১১ হাজারের কাছাকাছি ডাটা সেন্টার রয়েছে। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সেন্টার রয়েছে। এছাড়া এখানেই সবচেয়ে বেশি বিটকয়েন মাইনিং হয়ে থাকে। আইইএর তথ্যানুযায়ী, কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা সেন্টারগুলোয় বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে। অনুপাতের হিসেবে তা ২০২২ সালের ৪ শতাংশ থেকে ২০২৬ সাল নাগাদ ৬ শতাংশ ছাড়াবে। ডাটা সেন্টারে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে মাইক্রোসফট বর্তমানে কিছু অংশে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে। সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়