১৪ মাস পর ঢাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

আগের সংবাদ

চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক বাঁধন

পরের সংবাদ

সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কবলে বাংলা সংস্কৃতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশীয় টিভি চ্যানেলের তুলনায় হিন্দি-চ্যানেলগুলোর চাহিদা সর্বাধিক। জি-টিভি, জি-সিনেমা, জি-অ্যাকশন, জি-ক্লাসিক, স্টার টিভি, স্টার গোল্ড, সনি টিভি, সেট ম্যাক্স ইত্যাদি হিন্দি চ্যানেলই দর্শকদের পছন্দের চ্যানেল। স্যাটেলাইট টিভির বদৌলতে হিন্দি ভাষা-সংস্কৃতি এখন ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে। মহিলারা গৃহের কাজ ফেলে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে ব্যস্ত হয়ে যায়। নেশার ন্যায় হিন্দি সিরিয়াল আমাদের মহিলা দর্শকদের নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। যত কাজই থাক না কেন একটি এপিসোডও অদেখা রাখতে চায় না তারা। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে হিন্দি সিরিয়ালগুলো দর্শকদের ক্রমেই অসামাজিক করে তুলেছে। পাড়া-পড়শি, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সামাজিকতা এসব সিরিয়াল দখল করে নিয়েছে। পূর্বে আত্মীয় বাড়ি, প্রতিবেশীদের বাড়িতে যাওয়া-আসার যে সামাজিকতা ছিল, এখন সবই লুপ্ত প্রায়। বিচ্ছিন্নতায় আক্রান্ত প্রায় প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবার। হিন্দি ছবি-সিরিয়াল মানুষকে ক্রমেই গৃহবন্দি করে ফেলেছে। জীবন-জীবিকার বাইরে অবসরে সবাই মোবাইল ফোনে এবং টিভিতে মত্ত। কেবল শহরে নয়। গ্রাম-মফস্বলে পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করছে। কখন কোন সিরিয়াল তা প্রায় সবার মুখস্থ। হিন্দি সিরিয়াল দেখার সময়ে তারা অন্য জগতের বাসিন্দা হয়ে যায়। দিন-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলগুলো অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করে। এতে মানুষ সব সামাজিকতা পরিহার করে টিভির সম্মুখে কিংবা আঙুল টিপাটিপিতে ব্যস্ত থাকে স্মার্ট ফোনে। অতীতে পাকিস্তানি শাসকরা শত চেষ্টা করেও উর্দু ভাষা চাপাতে পারেনি। পারেনি উর্দু সাংস্কৃতিক বিনোদনে আকৃষ্ট করতেও। অথচ আমরা এখন হিন্দি ভাষা ও সংস্কৃতিতে অধিক মাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের সামগ্রিক সংস্কৃতিতে হিন্দি সংস্কৃতির আগ্রাসন ও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কথায়, আচার-আচরণে, দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে হিন্দি সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যেটি আমাদের সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনকই বটে।
হিন্দি নাটক-সিরিয়াল, রিয়েলিটি শো এমনকি হিন্দি চলচ্চিত্র পর্যন্ত ভারতীয় সমাজ-জীবনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন। সিরিয়ালগুলোর নারী চরিত্রমাত্রই চটকদার-বাহারি সাজে সর্বক্ষণ সেজে থাকে। এমনকি ঘুম থেকে ওঠার দৃশ্যে পর্যন্ত চড়া সাজে বাহারি পোশাকে দেখা যায়। তাদের কোনো কাজ নেই। কাজ একটাই সর্বদা পরনিন্দা-পরচর্চা এবং একে-অন্যের বিরুদ্ধে কূট কৌশল এঁটে ঘায়েলে ব্যস্ত। সামাজিক এবং পারিবারিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি অতিমাত্রায় পরকীয়া প্রায় সিরিয়ালের প্রধান উপজীব্য বিষয়। যার প্রভাব আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে ক্রমেই বিস্তার ঘটিয়েছে বললে ভুল হবে না। ভারতীয় সামষ্টিক জনগণের সংস্কৃতি-জীবনাচার বর্জিত এসব সিরিয়ালে আকৃষ্ট আমাদের দর্শকরা সুস্থ বিনোদনকে পাশ কাটিয়ে অসুস্থ এবং স্থূল বিনোদনে মেতে রয়েছে। হিন্দি সিরিয়ালের উচ্চবিত্ত শ্রেণির ব্যক্তিগত-পারিবারিক বিরোধ, চক্রান্ত, দ্ব›দ্ব, বিবাদ, অমানবিকতা এবং হিন্দি ছবির নিষ্ঠুর সহিংসতা দর্শকদের ওপর প্রভাব ফেলবে না- সেটা ভাবার উপায় নেই। যার নমুনা আমরা আমাদের সমাজ জীবনে প্রত্যক্ষ করে চলেছি। নেশাগ্রস্ত কন্যা কর্তৃক পিতা-মাতার হত্যার ঘটনা খোদ ঢাকায় ঘটেছে। ট্রেন থেকে মালামাল লুণ্ঠনের পর যাত্রীদের চলন্ত ট্রেন থেকে নিক্ষেপ করে নৃশংস হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। হিন্দি ছবিতে অমন নৃশংস দৃশ্য সচরাচর দেখানো হয়। হিন্দি ছবির সহিংসতার অনুকরণে নানা নৃশংস ঘটনা আমাদের দেশে ঘটছে। এ ধরনের ঘটনাই প্রমাণ করে হিন্দি ছবি ও সিরিয়ালের নৃশংসতার প্রভাব আমাদের ওপর ফেলেছে।
আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠানসমূহে বিশেষ করে বিয়ে-গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে হিন্দি গান এবং হিন্দি ছবির নাচের অনুকরণে নাচানাচি এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা কেবল শহরে নয়। গ্রামে-গঞ্জে পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। আমাদের পোশাকেও হিন্দি ছবি-সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকাদের বাহারি পোশাকের আদলে পোশাক পরিধানের হিড়িক লক্ষ্য করা যায়। ঈদ-পার্বণে দেশের বৃহৎ শপিংমলগুলোতে উচ্চ মূল্যের ভারতীয় পোশাকে সয়লাব হয়ে যায়। যা দেশের বিত্তবান এবং মধ্যবিত্তদের চাহিদা পূরণ করে। হিন্দি বাণিজ্যিক ছবিমাত্রই স্থূল-অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে বাস্তবতা বিবর্জিত। দর্শকদের বাস্তবতা থেকে কল্পলোকে আচ্ছন্ন করে দেয়। চেতনানাশক এসব হিন্দি ছবি মানুষের স্বাভাবিক মানসিকতাকে বিকৃত করে তোলে। যার নানা নমুনা আমরা আমাদের সমাজে দেখছি বটে- তবে প্রতিকারের লক্ষণ দেখছি না।
হিন্দি বাণিজ্যিক ছবির বিনিয়োগ অস্বাভাবিক। যা কল্পনা করা যায় না। অধিক অর্থ-বিত্তের বিনিয়োগকারীরা থাকে পর্দার অন্তরালে। যাদের অনেককে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মাফিয়া ডন বলা হয়। মুম্বাইর এক সময়কার মাফিয়া ডন হাজি মাস্তান মির্জাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরক্ষণে মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছিল। ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের পুঁজির লগ্নিকারকেরা মাফিয়া ডন রূপেই খ্যাত। এবং তাদের জীবনীভিত্তিক কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র পর্যন্ত নির্মিত হয়। ভারতের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগ মানুষ দরিদ্র হলেও, সংখ্যালঘু ভারতীয় বিত্তবানরা বিশ্বমানের বিত্তশালী। ভারতের অর্থনীতি, রাজনীতি, চলচ্চিত্র ব্যবসা, বেসরকারি চ্যানেল এদেরই মালিকানায় এবং নিয়ন্ত্রণে। ভারতীয়দের বিনোদনমাত্রই চলচ্চিত্র। চেতনানাশক হিন্দি ছবি তাদের ওপর আফিমের ন্যায় প্রভাব ফেলেছে এবং তাদের অধিকার সচেতনতাকে বিনষ্ট করে চলেছে। আফিমের নেশার অনুরূপ হিন্দি ছবি-সিরিয়াল আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে আমাদেরও একই পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বাংলা চ্যানেলে নাটক, চলচ্চিত্র, সিরিজ নাটক সম্প্রচারিত হয়ে থাকে। বাংলা ছবি সম্প্রচারে হাল আমলের ছবি সর্বাধিক হলেও, কদাচিৎ পুরনো সাদা-কালো বাংলা ছবি সম্প্রচারিত হয়। ভারতীয় বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে সিরিজ নাটকগুলোতে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা এবং ঐশ্বরিক শক্তির বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখানো হয়। ভারতীয় পৌরাণিকের ঐশী শক্তির নানা বিষয় হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রচারণা রূপেই বিবেচনার দাবি রাখে। অর্থাৎ জাগতিকতা থেকে ধর্মান্ধতায় দর্শদের আকৃষ্ট করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওগুলো সম্প্রচার করা হয়। যাকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতাযোগ বললে অত্যুক্তি হবে না। কলকাতার বাংলা নাটক-সিরিয়াল বা চলচ্চিত্রে মুসলিম পুরুষ চরিত্রমাত্রই মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি হাতে তসবিহ থাকবেই। নারীমাত্রই হিজাব-বোরখা পরবেই। মুসলিম চরিত্রগুলোর মুখের ভাষা- হয় পূর্ববঙ্গীয় গ্রাম্য ভাষা নয়তো উর্দু ভাষা। বিশুদ্ধ বাংলায় মুসলমানরা কথা বলতে পারে, এই বিবেচনা কলকাতার নির্মাতারা বোধকরি ভাবতেই পারে না। কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসে যেমন তিনি লিখেছিলেন, ‘আজ এপাড়ার বাঙালিদের সঙ্গে ঐপাড়ার মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ।’ পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা আজ অবধি শরৎচন্দ্রের সেই লেখাকে অতিক্রম করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে প্রায় যে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকে, ‘দাদা আপনি কি বাঙালি, না মুছলমান?’ মুসলমানরা যে বাঙালি হতে পারে এবং তাদের থেকেও অধিক মাত্রায়, এই সত্যটি তাদের ধারণার মধ্যে নেই। যার প্রভাব ব্যক্তিগতভাবে যেমন প্রত্যক্ষ করেছি, তেমনি কলকাতার বাংলা চ্যানেলের নাটক-চলচ্চিত্রে হরহামেশা দেখে আসছি।
কলকাতার বাংলা চ্যানেলগুলো পর্যন্ত হিন্দিমুক্ত নয়। নানা অনুষ্ঠানে হিন্দি ভাষার আধিক্য যেমন দেখা যায়, তেমনি দেখা যায় হিন্দি গানেরও। গানের কুইজ অনুষ্ঠানগুলোতে হিন্দি গানের একচেটিয়া সম্প্রচার চলে। সমৃদ্ধ বাংলা গান কোনো চ্যানেলে তেমন দেখা যায় না। হিন্দি গানে যেমন আসক্ত পশ্চিম বাংলার বাঙালি দর্শকরা, তেমনি গানের শিল্পীরা পর্যন্ত। হিন্দির আগ্রাসনে পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা বাংলা ভাষা ভুলে গেলে অবাক-বিস্ময়ের কারণ থাকবে না। কেননা তাদের আগ্রহের মূলে হিন্দি। হিন্দির বদৌলতে সর্বভারতীয় প্রচার-প্রতিষ্ঠার হাতছানি তো রয়েছেই। সে তো আকৃষ্ট করবেই। বাংলা গানের প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দে পর্যন্ত হিন্দি গান গেয়ে সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠার মোহে মুম্বাই স্থায়ী হয়েছিলেন। কিন্তু পরিণত বয়সে আক্ষেপে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘একমাত্র বাঙালি বলেই আমার হিন্দি উচ্চারণ মোহাম্মদ রফি, মুকেশদের ন্যায় হতে পারেনি।’ শেষে বলেছেন, ‘হিন্দি গানের ভুবনে আই ওয়াজ অ্যান আউট সাইডার।’ অতীতে প্রচুর বাংলা চলচ্চিত্রের রিমেক ভারতের বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত হতো। কিন্তু এখন নিয়মিত হিন্দি, তামিল, তেলেগু ভাষার বাণিজ্যিক ছবির রিমেক হচ্ছে কলকাতায়। তারা মিউজিক নামক গানের চ্যানেলে বাংলা এবং হিন্দি গান সমানভাবে সম্প্রচারিত হয়ে থাকে। কলকাতার চ্যানেলগুলো নামেমাত্র বাংলা কিন্তু সম্পূর্ণরূপে বাংলা-হিন্দির মিশেল।
আমাদের দেশীয় চ্যানেলগুলো বাংলা ভাষায় হলেও আঙ্গিক অনেকটা হিন্দি অনুষ্ঠানের আদলে। অনেক স্টেজ অনুষ্ঠান হিন্দি অনুষ্ঠানের পুরোপুরি রিমেক। অনুষ্ঠানগুলোর আঙ্গিক, উপকরণ, আচার, উপস্থাপনা হিন্দির অনুকরণে। গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা বিচারকের আসনে উপবিষ্ট প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দৃশ্য অবিকল হিন্দির অন্ধ অনুকরণ। একমাত্র ভাষা ব্যতীত অনেক কিছুই হিন্দি অনুষ্ঠান ও সিরিয়াল থেকে ধার নেয়া।
বিজ্ঞানের প্রতিটি সৃষ্টি মানব কল্যাণের কাজে এসেছে, কিন্তু মানব ধ্বংসেও কিন্তু পিছিয়ে নেই। আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন পাহাড় এবং অসমতল স্থানসমূহকে সমতলে পরিণত করে মানুষের আবাস ও আবাদের উপযোগী করতে। অথচ তার ডিনামাইট ফর্মুলা যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনায়করা কিনতে তার পিছু নেয়। ফর্মুলা বিক্রিতে অসম্মতি হলেও শেষ রক্ষা সম্ভব হবে না বুঝেই সে ফর্মুলা বিক্রি করে দেন। ফর্মুলা বিক্রির অর্থে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করে গেছেন। ডিনামাইট এখন যুদ্ধের অপরিহার্য অস্ত্ররূপে মানব ধ্বংসে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি সৃষ্টির ইতি ও নেতির দুই দিকই রয়েছে। স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং ইন্টারনেটে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষণিক জানা যায়। এমনকি ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যন্ত দেখা যায়। দৈনিকের বাসি সংবাদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সংবাদ কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের প্রধান উৎস এখন স্যাটেলাইট টিভি, ইন্টারনেট। টেলিপ্রিন্টারের সংবাদের অপেক্ষায় চাতকের ন্যায় প্রহর গুনতে হয় না। প্রযুক্তির সুফল আমরা পাচ্ছি বটে। তবে স্মার্ট ফোন, সাটেলাইট টিভির ইতিবাচক দিকটির পাশাপাশি নেতিবাচক দিকটিকেও অস্বীকার করা যাবে না। আমাদের দেশে স্যাটেলাইট টিভি সম্পূর্ণরূপে হিন্দিনির্ভর। আমাদের কিশোর বয়সিরা পর্যন্ত হিন্দি ভাষা রপ্ত করে ফেলেছে। স্যাটেলাইট টিভির নগণ্য দর্শক পাওয়া যাবে, যিনি হিন্দি বুঝেন না। হিন্দি ভাষা-সংস্কৃতি আমাদের দর্শকরা অনুসরণ-অনুকরণে ক্রমেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার পরিণাম শুভ বার্তা দেয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়